স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য সারথী‘ শীর্ষক অনুষ্ঠান কাল উদযাপন করা হবে।
বুধবার (২৩ জুলাই) বিকাল ৫টায় সাহিত্য কাগজ কালের ধ্বনির আয়োজনে বাংলামোটরস্থ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অডিটরিয়ামে ‘মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য সারথী, শতবর্ষে তাজউদ্দীন আহমদ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
তাজউদ্দীন আহমদের ১০০তম জন্মদিন কাল। ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই গাজীপুরের কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
তাজউদ্দীনের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
এছাড়া এই অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক মোরশেদ শফিউল হাসান, কথাসাহিত্যিক আহমাদ মোস্তফা কামাল, সাংবাদিক কাজল রশীদ শাহীন, গবেষক আলমগীর খান, সংবিধান বিশেষজ্ঞ আরিফ খান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন সংগঠক আলমগীর কবির। এছাড়া ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন সাংবাদিক শুভ কিবরিয়া।
এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে থাকবেন লেখক গওহার নঈম ওয়ারা, গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরায়জী, কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার, অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
তাজউদ্দীন আহমদ ছাত্রজীবনেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকে এদেশে ভাষার অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী যত আন্দোলন হয়েছে তার প্রত্যেকটিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের জেলে বন্দি থাকাকালীন মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বের মূল দায়িত্ব অর্পিত হয় তাজউদ্দীন আহমদের ওপর।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে সফল ভূমিকা পালন করেন তিনি। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তাজউদ্দীন আহমদ। এরপর শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তিনি। পরবর্তীতে তাঁর নির্দেশে ১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর তাজউদ্দীন আহমদকেও গৃহবন্দী করা হয়। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকাবস্থায় জাতীয় আরও তিন নেতা এএইচএম কামরুজ্জামান, এম মনসুর আলী ও সৈয়দ নজরুল ইসলামের সঙ্গে তাজউদ্দীন আহমদকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
জুলাই গণ অভ্যুত্থানেও তাজউদ্দিন আহমদের সমাজ ভাবনা অনুসরণ করার মত। সমাজ, রাষ্ট্র, মুক্তিযুদ্ধ এমন নানান বিষয়ে উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রকাশিত স্মরণিকা ‘অনিবার্য তাজউদ্দীন আহমদ’ সংকলনের মোড়ক উম্মোচন করা হবে। এই অনুষ্ঠানে আগ্রহীদের উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।