ঢালিউডের ‘মিষ্টি মেয়ে’ কবরীকে নিয়ে ৩ দিনব্যাপী উৎসব

ঢালিউডের ‘মিষ্টি মেয়ে’ কবরীকে নিয়ে ৩ দিনব্যাপী উৎসব

ঢাকাপ্রতিদিন বিনোদন ডেস্ক : ঢালিউডের ‘মিষ্টি মেয়ে’ খ্যাত নন্দিত অভিনেত্রী কবরীর ৭৫তম জন্মদিন। বরেণ্য এই অভিনেত্রীর বিশেষ দিনটি বিশেষভাবে উদযাপনের পরিকল্পনা করেছে চ্যানেল আই। দিনটিতে তিন দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। এই উৎসবে ১৯ থেকে ২১ জুলাই কবরী অভিনীত চলচ্চিত্র দেখানো হবে বলে জানিয়েছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।

১৯ জুলাই প্রচার হবে তার অভিনীত ‘মাসুদ রানা’, ২০ জুলাই ‘বধূ বিদায়’ এবং ২১ জুলাই ‘বিনিময়’। সিনেমা ছাড়াও এই তিন দিনে সম্প্রচার হবে কবরী অভিনীত চলচ্চিত্রের গান নিয়ে ‘এবং সিনেমার গান’।

২০ জুলাই বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে আবদুর রহমান-এর গ্রন্থনা ও উপস্থাপনায় কবরীর শেষ সাক্ষাৎকার নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘কিউট সাময়িকী’। ২১ জুলাই মৌসুমীর উপস্থাপনায় অভিনেত্রী কবরীর পঞ্চাশ বছরের অভিনয় জীবন নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘অভিনেত্রীর পঞ্চাশ বছর’ প্রচার হবে দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে পরিচালনায় আবদুর রহমান।

১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন কবরী। তারপর একের পর এক ছবি দিয়ে জয় করতে থাকেন দর্শক হৃদয়, হয়ে ওঠেন বাংলা চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়ে। অভিনয় করেছেন রাজ্জাক, ফারুক, সোহেল রানা, উজ্জ্বল, জাফর ইকবাল ও বুলবুল আহমেদের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে। ইতিহাস সৃষ্টি করা বহু ছবিতে অভিনয় তাঁকে নিয়ে গেছে এক ভিন্ন উচ্চতায়।

এক ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তার শিখরে তিনি অবস্থান করছেন।

কবরী অভিনীত অসংখ্য কালজয়ী সিনেমার মধ্যে কয়েকটি হলো– ‘সুতরাং’, ‘হীরামন’, ‘সুজন সখী’, ‘ময়নামতি’, ‘চোরাবালি’, ‘পারুলের সংসার’, ‘বিনিময়’, ‘রংবাজ’, ‘বধূ বিদায়’, ‘সারেং বউ’, ‘আগন্তুক’, ‘বাহানা’ ও ‘তিতাস একটি নদীর নাম’।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি পেয়েছেন একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল পুরস্কার, ঋষিজ পদকসহ দেশে-বিদেশের অনেক পুরস্কার। জাতীয় চলচ্চিত্রে পেয়েছেন আজীবন সম্মাননা। শতাধিক ছবিতে অভিনয় করা কবরী জড়িয়েছেন রাজনীতিতেও।

যুক্ত ছিলেন অসংখ্য নারী অধিকার ও সমাজসেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে। ২০১৭ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় তাঁর আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্মৃতিটুকু থাক’ প্রকাশ পায়।

অভিনয়ের বাইরে তিনি ছিলেন পরিচালক, প্রযোজকও। ২০০৬ সালে ‘আয়না’ সিনেমা দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তাঁর। এছাড়া তাঁর পরিচালিত ‘এই তুমি সেই তুমি’ চলচ্চিত্রের কাজ প্রায় শেষের পথে থাকলেও ছবিটির শেষ দেখে যেতে পারেননি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ দিনের মাথায় ৭১ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
ঢাকাপ্রতিদিন/এআর

Scroll to Top