জুমবাংলা ডেস্ক : ১৫ কোটি ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকার একটি প্রকল্পের অর্থ অপচয় ও আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্রের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন সুধাংশু আদালতে আত্মসমর্পণ করে তার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২০ আগস্ট প্রকল্পের ১৫ কোটি ১১ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগে শুধাংশু শেখর ভদ্র এবং ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত ১৬ অক্টোবর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলায় ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল মোস্তাক আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন একই আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘পোস্ট-ই-সেন্টার ফর রুরাল কমিউনিটি’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১৫ কোটি ১১ লাখ ৪২ হাজার টাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিফোন শিল্প সংস্থা থেকে ৫০০টি এইচপি সার্ভার এবং উইনার ইউপিএসসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক সামগ্রী কেনা হয়। পরবর্তী সময়ে তা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ডাকঘরে বিতরণ করা হয়।
পরে ওই প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা অপচয় ও আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম) মো. মুহিবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে গঠিত তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল অভিযোগ খতিয়ে দেখে। এতে দেখা যায়, প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুন মাসে শেষ হয়। কিন্তু সরবরাহ চালানে কোনো কোনো মালামাল বিভিন্ন ডাকঘরে পৌঁছাতে প্রকল্প শেষ হওয়ার দুই বছর পার হয়ে গেছে। তা ছাড়া এসব যন্ত্রপাতি কীভাবে ব্যবহার করা হবে, সেটার প্রশিক্ষণ দেওয়ার অর্থ বরাদ্দ থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। ফলে কোনো কোনো ডাকঘরে এসব যন্ত্রপাতি বছরের পর বছর সম্পূর্ণ অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
ফায়ার সার্ভিসের কোনো ব্যর্থতা নেই, সীমাবদ্ধতা আছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এসব অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র ও ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল মোস্তাক আহমেদ জড়িত বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ‘অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।