টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে কপাল চাপড়াতেই পারেন টম ল্যাথাম। শুরুতেই উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার পরিকল্পনায় শুরুতেই পানি ঢেলে দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড। অফফর্ম থেকে দারুণ প্রত্যাবর্তনে চলতি ওয়ানডে বিশ্বকাপে সম্ভাবনা জাগিয়েও টানা তিন সেঞ্চুরির দেখা পাননি ওয়ার্নার। তবে চোট থেকে ফিরেই ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শতক তুলেছেন হেড।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৫ ওভারে ২ উইকেটে ২০৬ রান। মিচেল মার্শ ও স্টিভেন স্মিথ ৬ রান তুলে ক্রিজে আছেন।
১৭৫ রানে এসে ভাঙে অজিদের উদ্বোধনী জুটি। ৬৫ বলে ৫ চার ও ৬ ছক্কায় ৮১ রান দিয়ে ফিলিপসের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। এর খানিক পরই ৫৯ বলে চোট থেকে ফিরে আসা হেড সেঞ্চুরির দেখা পান। ফিলিপসের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৬৭ বলে ১০ চার ও ৭ ছক্কায় ১০৯ রানের ইনিংস খেলে ক্রিজ ছাড়েন।
মাত্র ৪.১ ওভারেই ক্যাঙ্গারুরা দলীয় ৫০ রানের দেখা পায়। ৮.৫ ওভারেই তা একশো রানের গণ্ডি ছাড়িয়ে যায়। ওয়ার্নার মাত্র ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। হেড ছিলেন আরও আক্রমণাত্মক। কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে যুগ্মভাবে চলতি বিশ্বকাপে ২৫ বলে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি তোলেন।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে অজিদের হয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি পূরণ করেন হেড। ২০১৯ সালে ভারতের বিপক্ষে ২৫ বলে অর্ধশতক পান অ্যালেক্স ক্যারি। আফগানিস্তানের সঙ্গে ২১ বলে ফিফটি পেয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
ওয়ানডেতে প্রথম ১০ ওভারে তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরটি পায় অস্ট্রেলিয়া। লিডসে ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ১৩৩ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। ২০০৩ বিশ্বকাপে কানাডার সঙ্গে এক উইকেটে ১১৯ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
রাচীন রবীন্দ্রের করা ১৭তম ওভারে দলীয় ১৫৫ রানেই ভাঙতে পারতো উদ্বোধনী জুটি। মিডউইকেটে থাকা গ্লেন ফিলিপস সহজ ক্যাচ মিস করায় ব্যক্তিগত ৭৫ রানে জীবন পান হেড। সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেঞ্চুরি হাঁকাতে তিনি ভুল করেননি।