আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ফেসবুকে দারুণ এক খবর দিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি জানালেন, বাংলাদেশের শিল্পীদের একটি দল পৌঁছেছেন ইউনেস্কোর সদর দফতরে। সেখান থেকে পাঠানো কিছু ছবিও পোস্ট করেছেন ফারুকী। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আজ ইউনেস্কোর সদর দফতরে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক দল। আমি নিশ্চিত তারা আগামীকাল সন্ধ্যায় প্যারিসের সময় ৬টা ১৫ মিনিটে আপনাকে মুগ্ধ করবে। চোখ রাখুন’
ফারুকীর পোস্ট করা সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ইউনেস্কোর সদর দফতরে উপস্থিত হওয়া সেই সাংস্কৃতিক দলে আছেন অভিনেত্রী ও গায়িকা পারসা মেহজাবীন, র্যাপার শেজান, বাউল গানের শিল্পী ইসলাম উদ্দিন পালাকার, যন্ত্রশিল্পী মিথুন চক্রসহ আরও কয়েকজন।
তবে এই দল ইউনেস্কোর সদর দফতরে কেন, কবে বা সেখানে কি কি কার্যক্রমে অংশ নেবেন তার কিছুই জানা যায়নি ফারুকীর স্ট্যাটাসে। তবে যে শিল্পীদের দেখা যাচ্ছে এই দলে তাদের একাধিক শিল্পী জুলাই বিপ্লবের সময় ছাত্রদের পক্ষে গান গেয়ে জনমত গঠনে সহায়তা করেছিলেন। যেমন, র্যাপার শেজান গেয়েছিলেন ‘কথা ক’ নামের গানটি। পারসা মেহজাবীনের ‘ভুলে যাই আমি’ গানটিও তখন বেশ আলোচনায় আসে।
এদিকে, গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের অধিবেশনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, শিল্প-সাহিত্য চর্চা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এমন প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এখন প্রচুর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। আর পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি বড় উৎসব। এটি প্রত্যেকবার যেভাবে পালিত হয়, এবারও সেভাবেই হবে।
তিনি আরও বলেন, অস্বীকার করছি না যে, কোথাও কোথাও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না। তবে অনেক জায়গায় সফলভাবে অনুষ্ঠানও হচ্ছে। যেখানে সমস্যা, সেখানেই আমরা সঙ্গে সঙ্গেই সমাধান করার চেষ্টা করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নাট্যোৎসব বন্ধের পেছনে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। তাদেরই (নাট্যকর্মীদের) আরেকদলের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সেটি বন্ধ করা হয়েছে। কোনো বিশেষ সম্প্রদায় বা গোষ্ঠী এর সঙ্গে জড়িত নয়। এর সঙ্গে সরকারেরও কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ফারুকী আরও বলেন, আমি সব কাজ ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে করবো না। অনেক কাজ আমি আড়ালে করে থাকি। সেটি হয়তো আমরা বলবার প্রয়োজনীয়তা মনে করি না। সব কাজ শুধু ঘোষণা দিয়ে ক্রেডিট নিতে হবে তা নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক কথা অনেকে বলবে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে প্রত্যেকটি কথার উত্তর আমরা দিতে পারি না।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের চিত্রগুলো মাঠপর্যায় প্রচারের কোনো নির্দেশনা ডিসিদের দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে অনেকগুলো ডকুমেন্টারি বানানো হয়েছে। এগুলো মাঠপর্যায়ের প্রশাসন এবং শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। এই কাজটি চলমান।