ছাগল চাষে ভাল আয়! বসিরহাটের নতুন উদ্যোক্তারা রোজগারের দিশা দেখাচ্ছে

ছাগল চাষে ভাল আয়! বসিরহাটের নতুন উদ্যোক্তারা রোজগারের দিশা দেখাচ্ছে

Last Updated:

সুন্দরবনের শিক্ষিত যুবকরা ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল চাষ করে বেকারত্বকে হার মানিয়েছেন। এটি অল্প খরচে বেশি লাভের এক নতুন মডেল, যা অন্যদেরও স্বনির্ভর হতে অনুপ্রাণিত করছে।

+

ছাগল চাষে ভাল আয়! বসিরহাটের নতুন উদ্যোক্তারা রোজগারের দিশা দেখাচ্ছে

ছাগল পালন

উত্তর ২৪ পরগণা: বেকারত্ব থেকে ছাগল খামারে! সুন্দরবনের যুবকদের স্বনির্ভরতার জয়গাথা। উচ্চশিক্ষিত, তবু বেকার—এই হতাশা থেকে রোজগারের নতুন পথ খুঁজে নিয়েছেন বসিরহাট মহাকুমা ও সুন্দরবন এলাকার একদল যুবক। আর সেই পথটি কোনও চাকরির নয়, বরং নিজস্ব উদ্যোগে উন্নত প্রযুক্তির ছাগল চাষ।

বেকারত্বের গ্লানি আর সরকারি চাকরির অনিশ্চয়তার মাঝেও ভেঙে না পড়ে এই যুবকদের একাংশ বেছে নিয়েছেন ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনকে। আধুনিক পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে অল্প কিছু ছাগল দিয়ে শুরু করেছিলেন তাঁরা। কেউ শুরু করেছিলেন ৫-৬টি ছাগল নিয়ে। আজ কারও খামারে ৪০টি, আবার কারও কাছে ৫০টিরও বেশি ছাগল।

আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে বিপদে পরিযায়ী শ্রমিক? একটা ফোন করলেই…! বিরাট পদক্ষেপ বসিরহাট জেলা পুলিশের

এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছেন সুন্দরবন এলাকার দিব্যেন্দু দাস, জালাল উদ্দিন নূরের মতো একাধিক শিক্ষিত যুবক। তাঁরা শুধু নিজেদের জন্য নয়, অন্য যুবকদের জন্যও ছাগল চাষকে স্বনির্ভরতার দিশা হিসেবে তুলে ধরেছেন। এঁরা জানান, ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, বাজারে চাহিদাও প্রবল। ফলে যত্ন নিয়ে পালন করলে বছরে অন্তত দুবার বাচ্চা পাওয়া যায়, এবং অল্প খরচে বেশি লাভ উঠে আসে।

আরও পড়ুন: হাবড়ার দে পরিবারে এমন তিনজনের বিদেশ ভ্রমণের পাসপোর্ট আছে, পৃথিবীতে আর কারও নেই! কে সে জানেন?

শুধু আর্থিক লাভ নয়, এই উদ্যোগে গড়ে উঠছে একটি নতুন দৃষ্টান্ত—যেখানে শিক্ষিত যুবকরা শহরমুখী না হয়ে গ্রামের মাটিতেই গড়ে তুলছেন কর্মসংস্থানের মডেল। সরকারি সহায়তা এবং ব্যাংক ঋণের সাহায্য পেলে এই খামারগুলি আরও বড়ো আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে গোটা জেলাজুড়ে।  বসিরহাট ও সুন্দরবনের এই যুবকদের পথ আজ অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা। চাকরির অপেক্ষায় সময় নষ্ট না করে নিজেরাই তৈরি করছেন নিজের ভবিষ্যৎ।

জুলফিকার মোল্যা

Scroll to Top