এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
দীর্ঘ ২৯ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে আইসিসির কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট হতে চলেছে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ঘিরে তাই ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে পাকিস্তানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যে শহরগুলোতে টুর্নামেন্ট চলবে, সেগুলো নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।
পাকিস্তানে বৈশ্বিক ইভেন্ট, তার আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রসঙ্গ উঠবে এটাই স্বাভাবিক। এই নিরাপত্তার কারণেই পাকিস্তানে আসা থেকে বিরত থেকেছে ভারত। টুর্নামেন্ট হচ্ছে ‘হাইব্রিডে’ মডেলে। স্বাভাবিকভাবে আসর শুরুর আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিস্তারিত নিয়ে কথা হচ্ছে অনেক।
কয়েকঘণ্টা পরই মাঠে নামছে স্বাগতিক পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। ম্যাচের আগে লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানিয়ে পাঞ্জাবের পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) উসমান আনোয়ার বলেছেন, ‘দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও ক্রিকেট-ভক্তদের জন্য পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
শহর দুটিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যের সংখ্যা জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম। দুটি শহরে সবমিলিয়ে ১২,০০০ অফিসার শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। তাদের মধ্যে আছেন ১৮ জন সিনিয়র কর্মকর্তা, ৫৪ জন ডিসিপি, ১৩৫ ইন্সপেক্টর, ১২০০ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ১০,৫৫৬ জন কনস্টেবল এবং ২০০ নারী পুলিশ অফিসার।
রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ৩টি করে ম্যাচ রয়েছে। লাহোরে ম্যাচগুলো যথাক্রমে ২২ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি এবং ৫ মার্চ। এছাড়া রাওয়ালপিন্ডিতে ম্যাচ হবে ২৪, ২৫ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি। খেলা চলাকালে দুই শহরে খেলোয়াড়দের আবাসস্থল, যাতায়াত পথ ও স্টেডিয়ামের আশপাশে সার্চ, সুইপ, কম্বিং ও গোয়েন্দাভিত্তিক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, জানিয়েছেন পাঞ্জাব পুলিশের মহাপরিদর্শক। এছাড়া সব জায়গায় আধুনিক ক্যামেরা প্রযুক্তিও নজরদারিতে থাকবে।
আরেক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, তিনটি শহরে ২০ হাজার নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত থাকবে। এমন জানিয়েছেন পাঞ্জাব প্রদেশের ডেপুটি পুলিশ প্রধান শাহজাদা সুলতান। লাহোর, করাচি, রাওয়ালপিন্ডি এমনকি ইসলামাবাদেও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য নিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এরমধ্যে ভবনের ছাদ থেকে সতর্ক অবস্থায় থাকবেন স্নাইপাররা। খেলোয়াড়দের আবাসস্থল এবং যাতায়াত সর্বত্র নজরদারি থাকবে।
এছাড়াও বসানো হয়েছে ১০ হাজার কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সিসি ক্যামেরা। ব্যাকআপ হিসেবে রাখা হয়েছে বিশেষ সোয়াট বাহিনীকে। আর সার্বিক ব্যবস্থা তত্ত্বাবধান করবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং রেঞ্জার্স।