ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা একটি করে জেতায় তৃতীয় ও শেষটি পরিণত হয়েছিল অলিখিত ফাইনালে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় ম্যাচে লঙ্কানদের ৪ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল টাইগাররা।
রান তাড়ায় শুরুটা ভাল করেছিল বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও এনামুল হক বিজয়। কিন্তু ছয় রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে টাইগাররা। তবে উইকেটে এসে তানজিদকে নিয়ে ইনিংস গড়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছিলেন তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু তিনিও পারেননি বড় রানের ইনিংস খেলতে।
সৌম্য সরকারের ইনজুরির কারণে কনকাশন বদলি হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন তানজিদ। ইনিংসের শুরু থেকেই লঙ্কান বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলেছেন তিনি। তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন বিজয়। তবে হঠাৎ করে ধৈর্যচ্যুতি ঘটে ডানহাতি এ ব্যাটারের। লাহিরু কুমারাকে মারতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন তিনি।

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও পারেননি তেমন কিছুই করতে। কুমারার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর দেখেশুনে খেলতে থাকেন তানজিদ ও হৃদয়। উইকেটে আসার পর থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করছিলেন হৃদয়। বড় শট খেলার পরিবর্তে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে কুমার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভাঙে ৪৯ রানের জুটি।
৫১ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তানজিদ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দিকেই ছুটছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। তবে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে মারতে গিয়ে মিডঅনে চারিথ আসালাঙ্কার হাতে ধরা পড়েন তিনি। তার আগে তরুণ এ ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৮১ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ৮৪ রান।
পাঁচ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪০ বলে মিরাজ ২৫ রান করে ফিরলে ভাঙে ৪৮ রানের জুটি। তবে বাংলাদেশকে বিপদে পড়তে দেননি রিশাদ হোসেন। উইকেটের আসার পর থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন ডানহাতি এ ব্যাটার। ১৮ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত ক্যামিও খেলেছেন রিশাদ।
শ্রীলঙ্কার হয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন লাহিরু কুমারা। দুই উইকেট শিকার করেছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।

এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ২৩৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিসের দলের হয়ে ১০২ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত ছিলেন জানিথ লিয়ানাগে। ৪৬ বলে ৩৭ রান করেছেন চারিথ আসালাঙ্কা। ২৯ রান এসেছে কুশল মেন্ডিসের ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।