গাজায় আরও ৬ লাশ উদ্ধার, নিহত ছাড়াল ৪৮ হাজার ৩০০ – DesheBideshe

গাজায় আরও ৬ লাশ উদ্ধার, নিহত ছাড়াল ৪৮ হাজার ৩০০ – DesheBideshe


গাজায় আরও ৬ লাশ উদ্ধার, নিহত ছাড়াল ৪৮ হাজার ৩০০ – DesheBideshe

জেরুজালেম, ১৯ ফেব্রুয়ারি – ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও ৬ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৮ হাজার ৩০০ জনে পৌঁছে গেছে।

অন্যদিকে গাজার রাফায় ২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। একইসঙ্গে অধিকৃত পশ্চিম তীরে জাতিসংঘ পরিচালিত তিনটি স্কুলেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

আনাদোলু বলছে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আরও ৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৪৮ হাজার ২৯১ জনে পৌঁছেছে বলে মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে গত ২৪ ঘণ্টায় একজন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন এবং তারাও প্রাণহানির এই সংখ্যার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া আরও ১৩ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এতে করে ইসরায়েলি আক্রমণে আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ৭২২ জনে পৌঁছৈছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় পর গত মাসেই ফিলিস্তিনের গাজায় কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। তবে এরপর থেকেই সেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে নিহতদের লাশ। আর এতে করে বেড়েই চলেছে প্রাণহানির সংখ্যা।

আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ গাজার রাফাতে আরও দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে জাতিসংঘ পরিচালিত তিনটি স্কুলের পাশাপাশি একটি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার বলেছেন, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের জন্য আলোচনা “এই সপ্তাহে হবে”। এছাড়া হামাস বৃহস্পতিবার চার বন্দির মৃতদেহ হস্তান্তর করতে এবং শনিবার আরও ছয় জীবিত বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে।

গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছিল।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

 



Scroll to Top