গাজর চাষে বাম্পার ফলন, মানিকগঞ্জের কৃষকদের মুখে হাসি

গাজর চাষে বাম্পার ফলন, মানিকগঞ্জের কৃষকদের মুখে হাসি

গাজরের চাষের দিক থেকে মানিকগঞ্জ ভালো অবস্থানে রয়েছে। সেখানে গাজরের বাম্পার ফলন হচ্ছে। কারণ চাষিরা এখানে অনেক লাভ করতে পারছে। গাজর চাষ করতে বেশি অর্থ ব্যয় হয় না তবে অর্থনৈতিক লাভ অনেক বেশি। এ বছর 150 কোটি মূল্যের গাজর লেনদেন হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে কৃষি বিভাগ।

গাজর চাষে বাম্পার ফলন, মানিকগঞ্জের কৃষকদের মুখে হাসি

গাজর চাষ সবথেকে বেশি হয়েছে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায়। গাজর তোলা এবং পরিবহন নিয়ে বর্তমানে চাষিরা অনেক ব্যস্ত সময় পার করছে। কেননা এখন গাজরের ভরা মৌসুম চলছে। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এভাবে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।

কৃষকদের গাজরের প্রতি আগ্রহের কারণ এটি চাষ করতে বেশি সময় ব্যয় হয় না। পাশাপাশি স্বল্প খরচে দ্বিগুণ অর্থনৈতিক লাভের সুযোগ পাচ্ছেন তারা। কৃষকরা এখন নিজে তার ভাগ্য পরিবর্তনের অংশ হিসেবে গাজরকে দেখছেন। গাজর চাষ করে এক লাখ টাকার উপরে আয় করা সম্ভব হচ্ছে কৃষকদের পক্ষে।

জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গাজর চাষ করার জন্য সবথেকে উপযুক্ত সময়। বাংলাদেশের সবথেকে বেশি গাজর সিংগাইর উপজেলায় হয় বলে জানা স্থানীয় কৃষি বিভাগ। সেখানে প্রায় ৪০ শতাংশ গাজর উৎপাদিত হয়।

মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. রবীআহ নূর আহমেদ বলেন, চলতি বছর গাজর উৎপাদন গত বছরের উৎপাদনকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে বেশি লাভও হবে কৃষকদের। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ৯৫০ হেক্টর জমিতে গাজরের আবাদ হয়েছে।

Scroll to Top