মুক্তিপ্রক্রিয়ায় আবদুল মালিক বাজাবুকে সহায়তা দেওয়া একজন আইনজীবী এক বিবৃতিতে বলেন, নিরীহ একজন ব্যক্তিকে তাঁর জীবনের সেরা সময়টায় বন্দী রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাঁকে এমন একটা সময়ে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল, যখন তাঁদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল।
নাইন–ইলেভেনের হামলার পর তথাকথিত ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ চলার সময় ২০০২ সালে এই গুয়ানতানামো বে কারাগার চালু হয়। কিউবার কাছে মার্কিন এক সামরিক ঘাঁটিতে এই কারাগার অবস্থিত। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কমিশনের এক আইনি ব্যবস্থায় এটি পরিচালিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথাগত আদালতে যেসব সুযোগ–সুবিধা থাকে, সেখানে সেগুলো নেই।
এ কারাগারে বন্দীদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন করা হয় বলে মার্কিন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। যেখানে বিনা অভিযোগে অনেককে আটকে রাখা হয়। এমনকি কেন আটকে রাখা হয়েছে, তা জানারও আইনি ক্ষমতা দেওয়া হয় না তাঁদের।