বরগুনার জন্য
• দেশের প্রায় অর্ধেক ডেঙ্গু রোগী যেহেতু বরগুনায়, তাই জরুরি ভিত্তিতে সেখানে ‘হটস্পট ম্যানেজমেন্ট’ প্রয়োজন। এর মানে হলো, যেই বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী আছে, সেই বাড়ির চারপাশে ২০০ মিটারের মধ্যে ধোঁয়া দিয়ে লার্ভিসাইড করার মাধ্যমে সব মশা মেরে ফেলতে হবে। যেখানে এখনো ডেঙ্গু ছড়ায়নি, সেসব জায়গায় লার্ভিসাইডিং করে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
• কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, পূর্ণাঙ্গ মশা মারার চেয়ে তা লার্ভা থাকা অবস্থায় নির্মূলের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সহজ। কিন্তু সেদিকে আমাদের নজর কম।
• চিকিৎসাসেবা দানকারীদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। প্রশিক্ষণার্থী নার্স এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দল গঠন করে বরগুনার চিকিৎসক–সংকট দূর করা যায়।
• নির্মাণাধীন সব ভবনে পানি জমা বন্ধ করতে হবে এই কাজে স্কাউট, ক্যাডেট কোর এবং সিপিপির স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের দলকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।
• যাঁরা ট্যাংকে পানি ধরে রাখছেন, তাঁরা যেন পানির পাত্রগুলো ঢেকে রাখেন। এ বিষয়ে তাঁদের জানাতে হবে। পাত্রের ঢাকনা একটু ফাঁক থাকলে এডিস মশা ঢুকে ডিম পাড়বে। ফলে সেই বাড়িতে ডেঙ্গু সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে যায়।
• সিটি করপোরেশনের বা পৌরসভার দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজের ঘরের আঙিনা নিজেই পরিষ্কার রাখা উচিত। বাসাবাড়ি, ছাদ, নির্মাণাধীন ভবনে জমাটবদ্ধ পানি নিজেদের পরিষ্কার করতে হবে।