‘কনকাশন সাব’সহ একাধিক নিয়মে পরিবর্তন আইসিসির | চ্যানেল আই অনলাইন

‘কনকাশন সাব’সহ একাধিক নিয়মে পরিবর্তন আইসিসির | চ্যানেল আই অনলাইন

গত জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টুয়েন্টিতে একটি ‘কনকাশন সাব’ করেছিল ভারত। ব্যাটিং অলরাউন্ডার শিভম দুবের পরিবর্তে বোলিং অলরাউন্ডার হর্ষিত রানাকে দলে নেয় দলটি। ম্যাচে ৩৩ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন হর্ষিত। পরেই এই কনকাশন সাব হিসেবে রেফারির এই সিদ্ধান্ত বিতর্কিত হয়েছিল ব্যাপকভাবে। বিতর্ক এড়াতে কনকাশনের সাব এর ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম আনছে আইসিসি। পাশাপাশি ওয়ানডেতে দুই বলের ব্যবহার এবং বাউন্ডারি লাইনে ধরা ক্যাচের নিয়মেও আনা হচ্ছে পরিবর্তন।

ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান ম্যারিলবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) ও আইসিসি পরিবর্তনগুলো অনুমোদন করেছে। আগামী ১৭ জুন থেকে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে টেস্টের নিয়মগুলো কার্যকর হবে। ২ জুলাই থেকে ওয়ানডে এবং ১০ জুলাই থেকে টি-টুয়েন্টিতে কার্যকর হবে তা।

কনকাশন সাব এর ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ শুরুর আগে একজন করে বিকল্প উইকেটরক্ষক, ব্যাটার, পেসার, স্পিনার এবং অলরাউন্ডারের নাম জানাতে হবে ম্যাচ রেফারিকে। একাদশে থাকা কোনো ক্রিকেটার আঘাত পেলে তার কনকাশন হিসেবে ম্যাচে আগে দেয়া বিকল্প খেলোয়াড়দের তালিকা থেকে নির্দিষ্ট ভূমিকা অনুযায়ী দলে নিতে পারবে। তাছাড়া কোনো বদলি খেলোয়াড় আঘাত পেলে যদি তাকে বদলির প্রয়োজন হয় তাহলে ম্যাচ রেফারি মনোনীত পাঁচজন খেলোয়াড়ের বাইরে থাকা একজনকে অনুমোদন দিবে।

ওয়ানডেতে দুই বলের ব্যবহারেও পরিবর্তন আনছে আইসিসি। বর্তমানে ছেলেদের ওয়ানডেতে প্রতি ইনিংসে দুটি করে নতুন বলের ব্যবহার হচ্ছে, উভয় প্রান্ত থেকে একটি করে। সংশোধিত নিয়ম অনুযায়ী ৩৪তম ওভার পর্যন্ত দুটিই বলই ব্যবহার করা যাবে। এরপর দুটি বল থেকে যেকোনো একটি বলকে বেছে নিতে হবে ফিল্ডিং দলের। যা দিয়ে ৩৫তম ওভার থেকে ৫০ ওভার পর্যন্ত উভয় প্রান্তে ব্যবহার করবে। তবে ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে যদি কোনো কারণে ২৫ ওভার বা তার চেয়ে কম ওভার দুই দলের জন্য বেঁধে দেয়া হয় তাহলে। ফিল্ডিং দল পুরো ইনিংসে কেবল একটি নতুন বল ব্যবহার করতে পারবে। ব্যাট এবং বলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে এই নিয়ম পরিবর্তন করেছে আইসিসি।

বাউন্ডারিতে ধরা কিছু ক্যাচ নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। এবার বাউন্ডারি লাইনে ধরা ক্যাচের নিয়মেও পরিবর্তন এনেছে আইসিসি। আগে ‘বানি-হপ’ বা কিছুটা লাফিয়ে বাউন্ডারির বাইরে থেকে একাধিকবার বল শূন্যে তুলে আবারও সেটিকে তালুবন্দী করলে ক্যাচ হিসেবে গণ্য হত। নতুন নিয়মে তা আর হচ্ছে না।

নতুন নিয়মে এমসিসি জানিয়েছে, সীমানার বাইরে গিয়ে ‘বানি হপ (লাফিয়ে হাওয়ায় ভেসে থাকা)’ করে ক্যাচ নেওয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকবে। আর যেসব ক্যাচে ফিল্ডার মাঠের ভেতর থেকে বল হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন এবং বাইরে যাওয়ার পর আবার ডাইভ দিয়ে মাঠে ফিরে এসে ক্যাচ নেন, সেসব বৈধ থাকবে।

অর্থাৎ, ফিল্ডার যদি সীমানার বাইরে গিয়ে হাওয়ায় ভেসে বল স্পর্শ করতে চান, তাহলে তাকে বল নিয়ে সীমানার ভেতরে ঢুকতে হবে। নয়তো সেটি বাউন্ডারি দেয়া হবে। সীমানার বাইরে একাধিকবার বল স্পর্শ করা নতুন নিয়মে আর বৈধ থাকবে না।

দুজন ফিল্ডার মিলে ‘রিলে’ ক্যাচ নেওয়ার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর হবে। সীমানার বাইরে গিয়ে যেই ফিল্ডার হাওয়ায় ভেসে বল স্পর্শ করবেন, তার কোনো সতীর্থ ক্যাচটি নিলেও, প্রথম ফিল্ডারকে লাফিয়ে মাঠের ভেতরে ঢুকতে হবে।

আগামী ১৭ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার টেস্ট সিরিজ থেকে নতুন নিয়মটি আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে যুক্ত হয়ে যাবে। তবে এমসিসির বিধিমালায় এই নিয়ম যুক্ত হবে আগামী বছরের অক্টোবরে, যখন পরবর্তী দফার পরিবর্তনগুলো যুক্ত হবে।

Scroll to Top