এমবাপের হ্যাটট্রিক, ৭ গোলের রোমাঞ্চে জিতে শিরোপার খুব কাছে বার্সা | চ্যানেল আই অনলাইন

এমবাপের হ্যাটট্রিক, ৭ গোলের রোমাঞ্চে জিতে শিরোপার খুব কাছে বার্সা | চ্যানেল আই অনলাইন

বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদের এল ক্ল্যাসিকো শুরুর প্রথম ১৫ মিনিট ছিল মাদ্রিদের। এ সময় কাইলিয়ান এমবাপে করেন দুই গোল। দুই গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পরের আধা ঘণ্টায় ঝড় তোলে বার্সা। প্রথমার্ধে তারা করে চার গোল। পরে এমবাপে হ্যাটট্রিক করলেও হার এড়াতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। সাত গোলের ম্যাচে ৪-৩ গোলে শেষ হাসি হেসেছে কাতালুনিয়ানরা।

এ জয়ে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে সাত পয়েন্ট এগিয়ে গেল বার্সেলোনা। ৩৫ রাউন্ড শেষে টেবিলের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৮২, সমান সংখ্যক ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৭৫।

ম্যাচে প্রথম দুই গোল করে দারুণ এক রেকর্ডের মালিক হয়েছেন এমবাপে। রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়ে প্রথম মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন ফরাসি তারকা, ভেঙেছেন ইভান জামোরানোর ৩৭ গোলের রেকর্ড। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে রিয়ালে যোগ দিয়ে জামোরানো ৪৫ ম্যাচে গোল করেছিলেন ৩৭টি, এমবাপে ৫২ ম্যাচে করলেন ৩৯টি।

ন্যু ক্যাম্পে শুরু থেকে বার্সেলোনাকে চেপে ধরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সাফল্য আসতেও খুব বেশি দেরি হয় কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের। ডি বক্সে কাইলিয়ান এমবাপেকে ফাউল করেন বার্সা ডিফেন্ডার কিউবার্সি। পঞ্চম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে রিয়ালকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন এমবাপে।

১৪ মিনিটের সময় আবারও গোল করেন এমবাপে। রিয়ালের বক্সের কাছে লামিন ইয়ামালকে ফেলে দিলেও ফাউল ধরেনি রেফারি, কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করেন রিয়ালকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন এ ফরাসি তারকা।

দুই গোল পিছিয়ে পড়েও মোটেও দমে যায়নি হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। আক্রমণের পর আক্রমণে থিবো কোর্ত্তয়াকে পর্যদুস্ত করে ফেলে বার্সেলোনা। তার সুফল হিসেবে গোল আসে ১৯ মিনিটে। এরিক গার্সিয়া গোল করলে ম্যাচের ব্যবধান দাঁড়ায় ২-১ গোলের।

বার্সাকে সমতায় ফেরাতে খুব একটা সময় নেননি লামিন ইয়ামাল। ৩২ মিনিটে ইয়ামালের বাঁকানো শটে কোর্ত্তয়াকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ায়, ২-২ সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। দুই মিনিট পর ম্যাচের আরও চমক। রিয়াল ডিফেন্ডারদের ভুলে বল পেয়ে যান রাফিনহা, বা পায়ের জোরালে শটে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি এ ব্রাজিলিয়ান। ম্যাচের প্রথম ৩৪ মিনিটে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-২ গোলে।

 

৪২ মিনিটে ম্যাচের আরও নাটক বাকি ছিল। কাউন্টার অ্যাটাকে বার্সেলোনার ডি বক্সে বল পান এমবাপে, ফ্রেঙ্কি ডি জংয়ের ফাউলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশিও বাজান। তবে অফসাইডে বাতিল হয় পেনাল্টির সেই সিদ্ধান্ত। দুই মিনিট পর লুকাস ভাসকুয়েজের ভুলে বল রাফিনহা, পাস করেন ফেরান তরেসের দিকে, ব্যাক পাসে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ম্যাচে বার্সেলোনা এগিয়ে যায় ৪-২ গোলে।

বিরতি থেকে ফিরে আরেকটি গোল করেন ইয়ামাল। তবে অফসাইতে তা বাতিল হয়ে যায়। লামিন ইয়ামালের আরও একটি চেষ্টা রুখে দেন বেলজিয়ান গোলকিপার কোর্ত্তয়া। ৭০ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের অ্যাসিস্টে রিয়ালের তৃতীয় এবং নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এমবাপে।

কিছু সময় পর ইয়ামালের বাড়ানো বলের সহজ সুযোগ থেকে গোল করতে পারেননি রাফিনহা। ৭৮ মিনিটে ফেরান তরেসের নেয়া শট চুয়ামেনির হাতে লাগে। রেফারি দীর্ঘ সময় নিয়ে দেখার পরও পেনাল্টি না দিলে হতাশ হয় বার্সা।

বদলি হিসেবে নেমে ফেরমিন লোপেজ গোল করেন। যোগ করা ছয় মিনিটের পাঁচ মিনিটের সময় ডি বক্সের থেকে বাইরে থেকে দূরপাল্লার শট নেন। কোর্ত্তয়াকে ফাঁকি দিলেও রেফারি ভিএআর দেখে গোল বাতিল করেন। পরের মিনিটে রাফিনহা হ্যাটট্রিক করার আরেকটি সুযোগ পেয়েও বল বারের বাইরে দিয়ে মারেন। এরপর রেফারি শেষ বাঁশি বাজালে জয়ের আনন্দে মেতে উঠে বার্সেলোনা।

 

Scroll to Top