এখনও শেষ হয়নি সংযোগ সড়কের কাজ | বাংলাদেশ

এখনও শেষ হয়নি সংযোগ সড়কের কাজ | বাংলাদেশ

<![CDATA[

চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল খুলে দেয়ার কয়েক মাস বাকি। কিন্তু কর্ণফুলীর তীরে আনোয়ারা প্রান্তে শিকলবাহার ওয়াই জংশন থেকে আনোয়ারা সদর ও কালাবিবির দীঘি পর্যন্ত সংযোগ সড়কের কাজ এখনো শেষ করতে পারেনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এ সড়কের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৬০ শতাংশ।

জানা গেছে, ৪০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়লেনের ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির চারলেন হবে দ্রুতগতির গাড়ি চলাচলের জন্য। আর বাকি দুই লেন ধীরগতির গাড়ি চলাচলের জন্য।

টানেলের সঙ্গে সঙ্গে আনোয়ারা প্রান্তে সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করা না গেলে টানেলের সুফল পাওয়া যাবে না বলে মনে করছেন নগর পরিকল্পনাবিদ আশিক ইমরান।

তিনি বলেন, উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে সংযোগ সড়কগুলোর কাজ শতভাগ শেষ হতে হবে। তা নাহলে আমরা টানেলের পুরো সুফলটা পাব না।

টানেল খুলে দেয়ার সময় ঘনিয়ে আসায় খুশি কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ের সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন: টোল বেশি হলে বঙ্গবন্ধু টানেল ব্যবহার করবে না মানুষ

এদিকে সংযোগ সড়কের প্রকল্প পরিচালক সুমন সিংহ জানালেন, ছয় লেন নয়, ডিসেম্বরের মধ্যে চার লেনের কাজ শেষ করে খুলে দেয়া হবে। 

তিনি বলেন, বাকি যে দুই লেন আছে এটাতে একটু ভূমি অধিগ্রহণে সমস্যা আছে। বৈদ্যুতিক পোল যেগুলো আছে তাদেরকে প্রায় এক বছর আগে পেমেন্ট করেছি। কিন্তু এখনও সব পোল সরেনি। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃক আমাদের যে রাস্তার মূল অ্যালাইনমেন্ট মাঝখান বরাবর পাইপ বসিয়ে ফেলেছে, অনেকটা জোর করেই বসিয়ে ফেলেছে। ওই কারণেই প্রকল্পটা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে পারছি না। আশা করছি এই ডিসেম্বরের মধ্যেই আমাদের অ্যাপ্রোচ সড়কের মূল যেটা ফোরলেন সেটার কাজ সম্পন্ন করতে পারবো।

আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই খুলবে বঙ্গবন্ধু টানেল: সেতুমন্ত্রী

শেষের দিকে চলে এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেলের নির্মাণকাজ। ইতোমধ্যে এর ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। টানেলের মূল দৈর্ঘ্য তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার। প্রতিটি টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার এবং ব্যাস দশ দশমিক ৮০ মিটার। ডিসেম্বরে খুলে দেয়ার কথা রয়েছে কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে নির্মাণাধীন এই টানেল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল চালু হলে বছরে অন্তত ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করবে।

]]>

Scroll to Top