ইরানে সরকার পতন ‘আমাদের আনুষ্ঠানিক লক্ষ্য নয়’ – DesheBideshe

ইরানে সরকার পতন ‘আমাদের আনুষ্ঠানিক লক্ষ্য নয়’ – DesheBideshe


ইরানে সরকার পতন ‘আমাদের আনুষ্ঠানিক লক্ষ্য নয়’ – DesheBideshe

তেল আবিব, ২০ জুন – ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানে নেতৃত্বের পতন বা পরিবর্তন তাদের হামলার লক্ষ্য নয়, তবে হামলার ফলে এমনটা ঘটতেও পারে।

তিনি বলেন, ‘শাসনব্যবস্থা বদলানো কিংবা এই শাসনব্যবস্থার পতনের বিষয়টি একান্তই ইরানি জনগণের। এর কোনো বিকল্প নেই। এই কারণে আমি একে লক্ষ্য হিসেবে ঠিক করিনি। এটা হতে পারে হামলার একটি ফলাফল, কিন্তু এটা আমাদের আনুষ্ঠানিক বা নির্ধারিত লক্ষ্য নয়।’

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ইসরায়েলের সরকারি টেলিভিশন ‘কান’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

নেতানিয়াহু আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলায় যুক্ত হোক বা না হোক, তেহরানের সব পারমাণবিক স্থাপনা নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার ক্ষমতা ইসরায়েলের রয়েছে।

তার বক্তব্যের কিছুক্ষণ পর হোয়াইট হাউজ জানায়, ইরান যুদ্ধে ওয়াশিংটন যুক্ত হবে কি না, সে বিষয়ে ট্রাম্প আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন।

সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানের ফোরদো জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ধ্বংস করতে যুক্তরাষ্ট্রের বাঙ্কারবিধ্বংসী বোমার সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে ইসরায়েলের। কোম শহরের কাছে একটি পাহাড়ের নিচে, মাটির গভীরে অবস্থিত এই ফোরদো কেন্দ্রটিকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ‘মুকুট’ হিসেবে ধরা হয়।

ফোরদো নিয়ে সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে হবে নাকি তাদের ছাড়াই হবে— এ প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমাদের নিশানায় থাকা সবকিছু, তাদের সব পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংস করার ক্ষমতা আমাদের আছে। যুক্তরাষ্ট্র যুক্ত হবে কি না, তা পুরোপুরি প্রেসিডেন্টের (ট্রাম্প) সিদ্ধান্ত। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে যা ভালো, তা করবেন। আর আমি করব যা ইসরায়েলের জন্য ভালো। আমি বলতে পারি, এখন পর্যন্ত সবাই তার নিজের কাজটাই করছে।’

এর আগে বুধবার ট্রাম্প বলেছিলেন, কেবল যুক্তরাষ্ট্রেরই ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনাটি ধ্বংস বা অকার্যকর করার ক্ষমতা আছে। তিনি বলেন, ‘তার মানে এই নয় যে আমি সেটা করতে যাচ্ছি।’

সূত্র: ইত্তেফাক
আইএ/ ২০ জুন ২০২৫



Scroll to Top