যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় হামলার পর, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। আরব দেশগুলোও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
রোববার (২২ জুন) আল-জাজিরাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসব প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
ওমান
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনার মধ্যস্থতাকারী ছিল। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দেশটি।
ওমানের সুলতান যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সরাসরি বিমান হামলার ফলে সৃষ্ট উত্তেজনার গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানায় দেশটি।
সৌদি আরব
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শক্তিশালী নিরাপত্তা সম্পর্ক রয়েছে সৌদি আরবের। তবে মার্কিন হামলার পর সৌদি আরব ইরানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের নিন্দা জানায়।
দেশটি বলেছে, এই ধরনের হামলা ইরানের সার্বভৌমত্বের ওপরও আঘাত।
কাতার
হামলার পর কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছে, বর্তমান বিপজ্জনক উত্তেজনা পরিস্থিতি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনবে। একই সাথে সবপক্ষকে বিচক্ষণতা ও ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।
মিশর
হামলার পর এই অঞ্চল আরো বিশৃঙ্খলা ও উত্তেজনার দিকে ঝুঁকতে পারে বলে সতর্ক করেছে মিশর। দেশটি জোর দিয়ে বলেছে, সামরিক সমাধান নয়, রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক আলোচনাই এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায়।
লেবানন
লেবাননের রাষ্ট্রপতি জোসেফ আউন বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় বোমা হামলা উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে, যা এ অঞ্চল এবং দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।