জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি দূত জেরুজালেমের আল-আকসা প্রাঙ্গণে ইসরাইলী এক মন্ত্রীর বিতর্কিত সফরকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান নিরাপত্তা পরিষদের এমন অধিবেশনকে ‘দুঃখজনক’ এবং ‘হাস্যকর’ হিসেবে অভিহিত করেন।
এদিকে ফিলিস্তিনি দূত ইসরাইলি মন্ত্রীর এমন কাজকে ‘একেবারে অবমাননাকর’ হিসেবে উল্লেখ করে অভিযুক্ত করেন।
সংযুক্ত আরব-আমিরাত ও চীনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ টি সদস্য দেশ ইসরাইলি মন্ত্রীর বিতর্কিত আল-আকসা সফর নিয়ে আলোচনা করে। এ সফর ফিলিস্তিনিদের ক্ষুব্ধ করে।
এ অধিবেশনের প্রাক্কালে জাতিসংঘে ইসরাইলের স্থায়ী প্রতিনিধি গিলাদ এরদান সংবাদিকদের বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এ ধরনের বেঠক আয়োজনের একেবারে কোনো কারণ ছিল না। তিনি বলেন, ‘নিতান্ত তুচ্ছ ঘটনা বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের এ সভা একেবার অবান্তর।’
ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র কয়েকদিন পর দেশটির কট্টর ডানপন্থী নতুন মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির মঙ্গলবার আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করেন। অত্যন্ত সংবেদনশীল এ স্থানে তার প্রবেশ করা নিয়ে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
আল-আকসা ইসরাইলের দখল করে নেওয়া পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত এবং এটি হচ্ছে ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান। ইহুদিদের কাছেও এটি একটি পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত। তারা প্রাঙ্গণটিকে টেম্পল মাউন্ট মনে করে থাকে।
এদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেন, ইসরাইলি মন্ত্রীর এমন কাজ ফিলিস্তিন, নিরাপত্তা পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য ‘একেবারে অবমাননাকর’। তিনি এ কাজের জন্য ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেন। তিনি এমন উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড চালানোয় ইসরাইলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিগত বছরগুলোতে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বিভিন্ন প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দুই রাষ্ট্রকে সমাধানের প্রতি আহ্বান জানায়।