ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ৬০০ ইমাম মুয়াজ্জিনকে সুদমুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা খরচ করা হবে। যেসব ইমাম ও মুয়াজ্জিন অসহায় বা দরিদ্র অবস্থায় রয়েছে তাদেরকে এ ধরনের সহায়তা করা হবে। সুদমুক্ত ঋণের চেক বিতরণ ও আর্থিক অনুদান প্রদান করেন ধর্ম উপদেষ্টা খালিদ হোসেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠান আয়োজন করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে এ অর্থ দেওয়া হচ্ছে। অনুদান হিসেবে সব মিলিয়ে দুই কোটি এক লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে সুদমুক্ত ঋণ হিসেবে এক কোটি 80 লাখ টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা জেলায় ৭ জন উদ্যোক্তাকে ২০ হাজার টাকা হারে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ৭ জন সাধারণ উদ্যোক্তাকে ৩০ হাজার টাকা হারে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং ৭ জন বিশেষ উদ্যোক্তাকে ৪০ হাজার টাকা হারে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকার সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সমাজ সংস্কারে দেশের আলেম সমাজকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা এ সরকারের অগ্রাধিকার। সন্ত্রাস দমন ও সামাজিক সমস্যা নিরসনে আলেমরাই জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারে।
তিনি বলেন, ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট একটি সময়োপযোগী ও জনবান্ধব ট্রাস্ট। আগামী দিনে এই ট্রাস্টের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করা হবে। ইমাম মুয়াজ্জিনদের কল্যাণে আমরা মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা তৈরির কাজ করছি এবং তাদের জন্য একটি পে-স্কেল ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশের মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলাই ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের মূল উদ্দেশ্য।
কোন ইমাম বা মুয়াজ্জিন মারাত্মক দুর্ঘটনা, পঙ্গুত্ব, দুরারোগ্য ব্যাধি ইত্যাদিজনিত কোন কারণে অক্ষম হয়ে পড়লে বা আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করলে তাকে আর্থিক সাহায্য ও ঋণ প্রদান, তাদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষার জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান এবং তাদের পরিবারের সার্বিক কল্যাণ সাধন করার লক্ষ্যেই ২০০১ সালে এই ট্রাস্ট গঠিত হয়। বর্তমানে ট্রাস্টের সদস্যভুক্ত ইমাম মুয়াজ্জিনের সংখ্যা প্রায় ৮৪ হাজার।