‘অযোগ্যদের বাঁচাতেই যত কাণ্ড’! ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সব আশা শেষ হতেই চাঁচাছোলা চাকরিহারা শিক্ষক

‘অযোগ্যদের বাঁচাতেই যত কাণ্ড’! ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সব আশা শেষ হতেই চাঁচাছোলা চাকরিহারা শিক্ষক

Last Updated:

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সমস্ত রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। আর এর ফলে পরীক্ষায় বসা ছাড়া উপায় নেই চাকরি হারা শিক্ষকদের।

হতাশ যোগ্য চাকরিহারারা‘অযোগ্যদের বাঁচাতেই যত কাণ্ড’! ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সব আশা শেষ হতেই চাঁচাছোলা চাকরিহারা শিক্ষক
হতাশ যোগ্য চাকরিহারারা

কোদালিয়া, হুগলি, সোমনাথ ঘোষ: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সমস্ত রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। আর এর ফলে পরীক্ষায় বসা ছাড়া উপায় নেই চাকরি হারা শিক্ষকদের। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা এমন ঘটনায় রীতিমতো হতাশ। আর সেই হতাশার কথায় শোনা গেল এক শিক্ষকের মুখে। যোগ্য শিক্ষক সুমন্ত বিশ্বাসের মতে তারা দুর্নীতির শিকার।

চুঁচুড়ার কোদালিয়ায় চাকরিহারা শিক্ষক তথা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা যোগ্য শিক্ষা কর্মী ওয়েটিং নট কল ফর ভেরিফিকেশন ও অনশনকারী মঞ্চের আহ্বায়ক সুমন বিশ্বাস বলেন, “আজকে সুপ্রিম কোর্টের যে রায় এসেছে রিভিউ পিটিশন নিয়ে, তা খারিজ হওয়ার প্রধান কারণ, কারা দুর্নীতির সুবিধা পেয়ে চাকরি নিল আর কারা নিল না, এই তালিকা যখন হেয়ারিং হচ্ছিল তখন না দেওয়ার কারণে। রিভিউয়ের ক্ষেত্রেও তাই। রিভিউয়ে নতুন কোনও তথ্য না দিলে শুনানির ফলাফল কখনই পক্ষে আসে না। আজকের রায়ে বলা রয়েছে আনটেন্টেড টিচারদের দুঃখ হবে নন টিচিংদের দুঃখ হবে। তা সত্ত্বেও আমাদের খুবই আক্ষেপ বিচার ব্যবস্থার প্রতি তারা অন্তত একবার বিবেচনা করতে পারত।”

পাশাপাশি তিনি আরও জানান, “এই দুর্নীতিগ্রস্ত এসএসসিকে আবার পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বলছে, এটা আমাদের আক্ষেপ। রিভিউ সম্ভাবনা সেদিনই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল যখন রাজ্য সরকার স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে মিসলেনিয়াস অ্যাপ্লিকেশন করে যাদেরকে স্বচ্ছ সিলেকশন করতে বলেছিল। আজকের দিনে অত্যন্ত দুঃখের ছয় বছর ধারাবাহিকতা সহ চাকরি করার পরেও আবার সেই একই পরীক্ষার মাধ্যমে আসতে হবে। আমরা দুর্নীতির কবলে পড়লাম। যা অত্যন্ত বেদনা এবং হতাশার। আমাদের পরীক্ষা যদি দিতেই হয় সুপ্রিম কোর্টের যে রায় অল ডিজেবল আর নট স্পেসিফিক্যালি ফাউন্ড টু বি টেনটেড তারাই দেব। আরও সময় নিন পরীক্ষা আমরা দেব এবং নম্বর আপনি আরও বাড়ান। আমরা ফের এসএসসি অভিযানে যাব। আমরা জানতে চাই ১০ বছর পরে আপনাদের দুর্নীতির পাপের সাজা আমাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখের, বেদনার।”

তিনি আরও বলেন, “এই সমস্যার সমাধান হয়ে যেত, রাজ্য সরকার প্রথম থেকে যারা ‘অযোগ্য’ তাদেরকে বাঁচানোর জন্য আমাদের চাকরি চলে গেল। কারাযোগ্য কারা অযোগ্য সেই তালিকা যদি সরকার সুপ্রিম কোর্টে তুলে দিত সকল যোগ্যদের চাকরি ফিরত। পশ্চিমবাংলায় কলঙ্কের ইতিহাস রচিত হচ্ছে। আবারও পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে আসতে হবে তা না হলে তাদের আর চাকরি থাকবে না। এটা একটা সামাজিক অবক্ষয়। একটা নির্বাচিত সরকার সংবিধানের শপথ নিয়ে এটা করছে। আমরা আইনের প্রতি ন্যায়বিচার চেয়েছি। ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এই আইন বাবাসাহেব আম্বেদকাররা রচনা করে যাইনি। এর থেকে সামন্ত রাজাদের আমল ভাল ছিল। আমরা ভগবানের মতো চোখ বুজে বিচারব্যবস্থাকে বিশ্বাস করি। আর সেই ভগবানই যখন বিচার না দিতে না পারে সেই ভগবানের প্রতিও মানুষের আস্থা হারাবে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি ও মানুষের আস্তা হারাচ্ছে দুঃখের সঙ্গে বলছি।”

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/

‘অযোগ্যদের বাঁচাতেই যত কাণ্ড’! ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সব আশা শেষ হতেই চাঁচাছোলা চাকরিহারা শিক্ষক

Scroll to Top