West Bengal News: রেডিও তাঁর নেশা! একাত্তর থেকে কারগিল, এমনকী পহেলগাঁও কী শোনেননি তিনি

West Bengal News: রেডিও তাঁর নেশা! একাত্তর থেকে কারগিল, এমনকী পহেলগাঁও কী শোনেননি তিনি

Last Updated:

West Bengal News: সময় পাল্টেছে, কিন্তু আজও বদলায়নি রেডিও দাদুর যুদ্ধের ধারাবিবরণী শোনার পদ্ধতি। এখনও একইভাবে তিনি সমস্ত খবর শোনেন শুধুমাত্র রেডিওতে। ছোট থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁর সবসময়ের সঙ্গী রেডিও।

X

West Bengal News: রেডিও তাঁর নেশা! একাত্তর থেকে কারগিল, এমনকী পহেলগাঁও কী শোনেননি তিনি

হরেরাম নন্দন 

পূর্ব বর্ধমান: সময় পাল্টেছে, কিন্তু আজও বদলায়নি রেডিও দাদুর যুদ্ধের ধারাবিবরণী শোনার পদ্ধতি। এখনও একইভাবে তিনি সমস্ত খবর শোনেন শুধুমাত্র রেডিওতে। ছোট থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁর সবসময়ের সঙ্গী রেডিও। ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতেও যখন গোটা দেশ টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিল, কেউ বা খবরের আপডেট জানছিল মোবাইল ফোনে। ঠিক সেই সময়ও রেডিও দাদু খবর শুনেছেন শুধুমাত্র রেডিওতে। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের নিরোল গ্রামে রয়েছেন ৭৪ বছরের হরেরাম নন্দন। তিনি আজও আধুনিক প্রযুক্তিকে পাশে ঠেলে কান পেতে খবর শোনেন রেডিওতে।

ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ পরিস্থিতির খবরও শুনেছেন রেডিওতেই। এই বিষয়ে হরেরাম নন্দন জানিয়েছেন, ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের খবরও শুনেছি, “তখন আমার বয়স ছিল ১০-১২ বছর। এখন সেসব আর অত মনে নেই। এখনও খবর শুনি, অনেকে আমার কাছে খবর শুনতেও আসে।” ৭৪ বছরের হরেরাম নন্দন। নিরোল গ্রামের কালীতলায় বাড়ি লাগোয়া তার একটি দোকান রয়েছে। সেই দোকানেই তিনি সারাদিন একাকী বসে থাকেন, পাশে সঙ্গী একখানি রেডিও। ভোরের আলো ফুটতেই তিনি রেডিও খুলে দেন, শুরু হয় দিনের খবর শোনা। দিন গড়িয়ে রাত, শেষে ঘুমোতে যাওয়ার সময়েও বালিশের পাশে সেই রেডিও।

রেডিও তার একান্ত সঙ্গী, নেশা। রেডিও থেকে পাওয়া তথ্যেই তিনি জানছেন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতির বিস্তারিত। স্থানীয়দের কাছে তিনি পরিচিত ‘রেডিও দাদু’ বা ‘রেডিও কাকা’ নামে। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধ সহ কার্গিল যুদ্ধের খবরও তিনি শুনেছেন রেডিওতেই। ছোট থেকেই একেবারে রেডিওতে আসক্ত হরেরাম বাবু। তাঁর স্ত্রী মায়ারানী নন্দন বলেন, “সারাদিন ওই রেডিও নিয়ে পরে থাকে। সকাল থেকে শুরু হয় রাত অবধি চলে। মাঝে মাঝে বিরক্তও লাগে, খাবার ছেড়ে আগে মন থাকে খবরে।”

হরেরাম বাবু বয়সের ভারে আর কাজ করতে পারেন না। সংসার চালান স্ত্রী মায়ারানী নন্দন। কাগজের ঠোঙা বানিয়ে স্বল্প কিছু টাকা রোজগার হয়, তা দিয়েই চলে সংসার। তবে সংসারে অভাব থাকলেও, হরেরামবাবুর রেডিও শোনার অভ্যেসে একটুও খামতি নেই। সকাল থেকে শুরু করে রাত্রে ঘুমানোর আগে পর্যন্ত চলে রেডিও।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Scroll to Top