Last Updated:
West Bengal news: এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা বারুইপুর আদালতের। একই সাথে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা ও নির্যাতিতাকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ আদালতের।

অর্পণ মণ্ডল: এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা বারুইপুর আদালতের। একই সাথে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা ও নির্যাতিতাকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ আদালতের। কুলতলির সানকিজাহানের বাসিন্দা অমর দাস (৩৬), তিনি বিবাহিত। তবে বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হুগলি জেলার বাসিন্দা ১৪ বছরের নাবালিকাকে অপহরণ করে নিয়ে আসে।
তদন্তে জানা গিয়েছে মেয়েটির বাবা বকেছিল তাই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে। একটি রেল স্টেশনে তাকে একা বসে থাকতে দেখে অমর দাস তার সাথে আলাপ করে। তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তারপর তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে নিয়ে এসে দিনের পর দিন নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। শুধু এখানেই নয় আসামির দাদা ও বৌদির বাড়ি পুরীতেও নাবালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। দাদা ও বৌদির আপত্তিতে পুরী থেকে তারা চলে আসে। ফের নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। সেখানে ফের ধর্ষণ। অভিযুক্তের দিদি ও জামাইবাবু এই ঘটনায় ইন্ধন দিত বলে অভিযোগ। নাবালিকাকে বৌবাজারে পতিতাপল্লীতে বিক্রিরও চেষ্টা করা হয়। নাবালিকা হওয়ায় বিক্রি সম্ভব হয়নি। ফের কুলতলিতে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। ফের ধর্ষণ করা হয়।
কুলতলি এলাকার সমাজকর্মী শক্তিপদ মণ্ডল বিষয়টি জানতে পেরে কুলতলি থানায় ফোন করে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। তিনিই থানায় ১.০৫.২০২২ তারিখে অভিযোগ দায়ের করেন। কেস নম্বর – ২৫৯/২২। মেয়েটিকে উদ্ধার করে বারুইপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। আই.ও শুভময় দাস এই কেসের তদন্তকারী অফিসার হন। তিনি তদন্ত শুরু করেই আসামিকে গ্রেফতার করেন। ৩০.০৬.২২ তারিখে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। বারুইপুর পকসো আদালতে বিচার পর্ব শুরু হয়। মোট ৭ জন সাক্ষ্য দেয়। সরকারি আইনজীবী অতসী হালদার সাহা এই মামলায় নাবালিকার পক্ষে সওয়াল করেন। বারুইপুর পুলিশ জেলার ট্রায়াল মনিটরিং সেলের এস আই জয়ন্ত কুমার দাসের তত্ত্বাবধানে এই মামলায় সরকারি কৌশলীকে বিশেষভাবে সহযোগিতা করা হয়। নাবালিকাকে সুবিচার পেতে সহায়তা করেন।
আড়াই বছরের মাথায় বিচারক সুব্রত চ্যাটার্জি এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। এছাড়া ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ও অনাদায়ে ১ বছরের জেলের সাজা দেন। মেয়েটিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে বাকি আরও দুই অভিযুক্ত আসামির দিদি ও জামাইবাবু বেকসুর খালাস পায়।
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
June 19, 2025 12:32 AM IST