West Bardhaman News: জাপানের মাটিতে বাংলায় ছেলে যা করে দেখাল, জানলে গর্বিত হবেন আপনিও

West Bardhaman News: জাপানের মাটিতে বাংলায় ছেলে যা করে দেখাল, জানলে গর্বিত হবেন আপনিও

Last Updated:

West Bardhaman News: কর্মসূত্রে পেশায় আধিকারিক কিন্তু নেশা আলাদা। সেই খেলোধুলোর নেশাকে কাজে লাগিয়ে জাপানের হিমেজিতে সোনা জয় করে বাড়ি ফিরলেন কুন্তল দাস।

+

West Bardhaman News: জাপানের মাটিতে বাংলায় ছেলে যা করে দেখাল, জানলে গর্বিত হবেন আপনিও

সোনা জয়ী কুন্তল 

আসানসোল: কর্মসূত্রে পেশায় আধিকারিক কিন্তু নেশা আলাদা। সেই খেলোধুলোর নেশাকে কাজে লাগিয়ে জাপানের হিমেজিতে সোনা জয় করে বাড়ি ফিরলেন কুন্তল দাস। মানুষের নেশা থাকে অনেক ধরণের কিন্তু সেই নেশা যখন মনের ইচ্ছাশক্তির মধ্যে প্রবেশ করে তখন সেই মানুষটি পৌঁছে যায় একটা আলাদা জায়গায়। হ্যাঁ তবে, সেই নেশা যেন খারাপ নেশা না হয়। সেই নেশা হতে হবে নিজের জীবনের জন্য ভাল কিছু করার নেশা। সেটাই করে দেখাল আসানসোলের কুন্তল দাস।

কুন্তল দাস এর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি শহরে। ছোট থেকে বেড়ে ওঠা সেখানেই। পিতা কিশোর কুমার দাস অবসর প্রাপ্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী। মা লিপিকা দাস গৃহবধূ ৷ বিটেক নিয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরি সূত্রে ২০১২ সালে বার্নপুরে সেইলের ইসকো কারখানায় আধিকারিক পদে যোগ দেন। তখন থেকেই তিনি আসানসোলের বার্নপুর শিল্প শহরের বাসিন্দা। ছোট থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তার নেশা। বাংলার বিশিষ্ট ক্রিকেট কোচ দেবেশ চক্রবর্তীর কাছে ক্রিকেটের হাতেখড়ি। এরপরে ক্রিকেটের বিভিন্ন জায়গায় টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করা এবং সেখানেই আসে একে একে সাফল্য।। এরপরে চাকরি জীবনে এসে ক্রিকেটের জন্য সময় দিতে না পারায় ক্রিকেট ছাড়তে হয় তাকে। পরবর্তীতে ইসকোর স্পোর্টস অ্যাকাডেমিতে প্র্যাকটিস করতে গিয়ে পাওয়ার লিফটারদের সঙ্গে পরিচয় হয় কুন্তল দাসের।

সেখানে পাওয়ার লিফটিং এ অংশগ্রহণ করার জন্য বলা হয়। এরপরে কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই শুধুমাত্র অনলাইন, সমাজ মাধ্যমে বিভিন্ন গবেষণা করার পর ঝাড়খণ্ডে একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন তিনি এবং সেখানে সিলভার মেডেল পান। তারপরে আর পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখতে হয়নি তাকে। কুন্তল দাস বলেন “ গোল্ড মেডেল পাব এটা আশা করিনি তবে ভাল কিছু একটা পারফরম্যান্স করব সেটা আশা করেছিলাম। আগামীতে যারা পাওয়ার লিফটিং এগিয়ে আসবে তাদেরকে জীবনে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং নিয়ম-কানুনের মধ্যে চলতে হবে তাহলেই এগিয়ে যাওয়া যাবে।”

মে মাসে নরওয়েতে একটি ওয়াল্ড চাম্পিয়ানশিপের প্রতিযোগিতা ছিল সেখানে নবম স্থানে শেষ করেছিল কুন্তল। দুই মাস পরে অর্থাৎ চলতি মাসের জুলাইয়ে জাপানের হিমেজিতে অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া প্যাসিফিক এবং আফ্রিকা কন্টিনেন্টাল জোনের পাওয়ার লিফটিং প্রতিযোগিতা। সেখানে ভারত থেকে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১২০ কেজির অধিক হেভিওয়েট ক্যাটাগরিতে সোনা জয় করেন তিনি। তার এই জয়ের ধারায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে সকলেই।

রিন্টু পাঁজা

বাংলা খবর/ খবর/খেলা/

West Bardhaman News: জাপানের মাটিতে বাংলায় ছেলে যা করে দেখাল, জানলে গর্বিত হবেন আপনিও

Scroll to Top