West Asia Tension: পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনা বাড়ছে, ইরানে থাকা পড়ুয়াদের সরিয়ে আনছে ভারত

West Asia Tension: পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনা বাড়ছে, ইরানে থাকা পড়ুয়াদের সরিয়ে আনছে ভারত

Last Updated:

দিনের শুরুতেই ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (IDF) মুখপাত্র এফি ডেফ্রিন ভারতকে আশ্বস্ত করেন যে, ইরান থেকে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ইজরায়েল সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে

Image:AFPWest Asia Tension: পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনা বাড়ছে, ইরানে থাকা পড়ুয়াদের সরিয়ে আনছে ভারত
Image:AFP

নয়াদিল্লি: সোমবার ভারত সরকার ইরানে থাকা ছাত্রছাত্রীদের আর্মেনিয়া রুটের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, কারণ তেল আভিভ ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। এই পদক্ষেপটি আসে কয়েক ঘণ্টা পর, যখন ভারত সরকার জানায় যে তেহরানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস সেখানকার ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

দিনের শুরুতেই ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (IDF) মুখপাত্র এফি ডেফ্রিন ভারতকে আশ্বস্ত করেন যে, ইরান থেকে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ইজরায়েল সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে। “ভারতীয় নাগরিকদের ইরান থেকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে আমরা যেভাবে সম্ভব, সমস্তভাবে সাহায্য করব,” জানিয়েছেন ডেফ্রিন।

এদিকে, তেহরানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস আনুষ্ঠানিকভাবে শিরাজ ইউনিভার্সিটি অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এর কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ভারতীয় নাগরিক ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্রছাত্রীদের সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা হয়।

২০২৫ সালের ১৫ জুন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বার্তার উল্লেখ করে দূতাবাস নিশ্চিত করেছে যে, ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদ প্রস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইজরায়েলের সংঘর্ষ এখন শুধু দুই দেশ নয়, সমগ্র বিশ্ব রাজনীতিকে থমকে দিয়েছে। ১৩ জুন ২০২৫ তারিখে ইজরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনার ওপর হামলা চালিয়েছে—এমন পরিস্থিতিতে ইরান ছিটকে পড়েছে বন্ধু দেশের তালিকা থেকে।ইরানের পুরনো বন্ধু রাশিয়া এখন নিজের যোগ্যতা ও রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ব্যস্ত। ইউক্রেনে যুদ্ধ ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে, রাশিয়া আর ইরানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিতে পারছে না। তারা এখন শুধু মৌখিক সমর্থন প্রকাশ করছে—যুদ্ধের সহায়তায় তারা নেই।চিন এবং ইরান দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত অংশীদার হলেও, বর্তমান সংকটের মুহূর্তে তারা কোনও সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে না। চিন শুধু শান্তি ও স্থিতির আহ্বান জানিয়েছে—একদিকে দেখা যাচ্ছে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ও পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে তারা বারবার ব্যর্থ।তুরস্ক, সিরিয়া, লেবানন—ইরানের ঐতিহ্যগত সহযোগীরা এখন সকাল থেকে চুপ। সিরিয়া ও লেবাননের অবস্থাও সংকটজনক; হিজবুল্লাহসহ সংকটময় গ্রুপগুলো এখন প্রকাশ্যরূপে হবে না। অন্যদিকে, তুরস্ক-NATO সদস্য থাকায়, তারা ইরানের পাশে আসতে পারে না।ইজরায়েল বুঝে নিয়েছে—ইরান একদম একা৷ তার উপর দেশে একাধিক সমস্যা৷ এখনই আঘাত করে আহত করাই সঠিক। যেমন ভাবা তেমন কাজ, ১৩ জুন ইজরায়েলের সেই ভয়ঙ্কর আক্রমণ ভালই আঘাত করেছে ইরানকে৷যুক্তরাষ্ট্রও ইজরায়েলের এই পরিকল্পনাকে সহযোগীতা প্রদান করেছে। কারণ, ইরানের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ট্রাম্প প্রশাসন ইজরায়েলের উদ্যোগকে সমর্থন করে—আন্তর্জাতিকভাবে ইরানকে সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা করেছে।এখন ইরান কাছে লড়াইটা কার্যত একার, অস্তিত্ত্ব রক্ষার। রাশিয়া ও চিনও এখন শুধু পর্যবেক্ষক; অন্যরা দূরে সরে গেছে। তার উপরও স্ট্রাইক হয়েছে—এখন ইরানের অস্তিত্ব ও ভাবমূর্তি নতুন সঙ্কটে।

Scroll to Top