Waterlogged Area: ভেলায় রোগী, স্যালাইন হাতে পরিজনেরা! বাদুড়িয়ার জলমগ্ন গ্রামে বিপর্যস্ত জনজীবন

Waterlogged Area: ভেলায় রোগী, স্যালাইন হাতে পরিজনেরা! বাদুড়িয়ার জলমগ্ন গ্রামে বিপর্যস্ত জনজীবন

Last Updated:

Waterlogged Areas: ভেলায় রোগী, স্যালাইন হাতে পরিজনেরা! বাদুড়িয়ার জলমগ্ন গ্রামে বিপর্যস্ত জনজীবন। ২০২৫ সালের আধুনিক যুগে দাঁড়িয়ে এখনও কলার ভেলায় করে অসুস্থ রুগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছে!

+

Waterlogged Area: ভেলায় রোগী, স্যালাইন হাতে পরিজনেরা! বাদুড়িয়ার জলমগ্ন গ্রামে বিপর্যস্ত জনজীবন

ভেলায় নিয়া যাওয়া হচ্ছে রোগী

উত্তর ২৪ পরগণা: ভেলায় রোগী, স্যালাইন হাতে পরিজনেরা! বাদুড়িয়ার জলমগ্ন গ্রামে বিপর্যস্ত জনজীবন। ২০২৫ সালের আধুনিক যুগে দাঁড়িয়ে এখনও কলার ভেলায় করে অসুস্থ রুগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছে! উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া ব্লকের চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সলুয়া গ্রামে এমন ছবিই হতবাক করছে সাধারণ মানুষকে। পাপিলা, কোটালবেড়িয়া, রসুই, পোতাপাড়া, মির্জাপুর সহ একাধিক গ্রাম জলমগ্ন—কোথাও হাঁটু পর্যন্ত, আবার কোথাও কোমর সমান জল।

আরও পড়ুনঃ হঠাৎ মোবাইল রিং হল…ফোন রিসিভ করার পর একজন বললেন, ‘“আপনার ফোন ব্যবহার করেছে জ*ঙ্গিরা!” তারপর যা হল

চাষের জমি, বাড়িঘর, এমনকি চলাচলের প্রধান রাস্তা সবই জলের নিচে। এক প্রকার থমকে গেছে গোটা জনজীবন। কাজকর্ম বন্ধ, বাচ্চারা যেতে পারছে না স্কুলে, কেউ কেউ সন্তানদের কাঁধে করে পার করছেন জল। অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না বাড়ির বাইরে। এমনকি একজন অসুস্থ রোগীকে কলার ভেলায় শুইয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চিত্র সামনে আসায় আরও স্পষ্ট হয়েছে দুরবস্থার প্রকৃত চেহারা। এর আগেও হিঙ্গলগঞ্জের গোবিন্দকাটি এলাকায় রাস্তার বেহাল দশায় ডুলিতে করে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা সামনে এসেছিল।

এলাকার মানুষের অভিযোগ, প্রতি বছরই এই একই চিত্র দেখা যায়। তারা বহুবার পঞ্চায়েত ও বিধায়ককে জানিয়েছেন, কিন্তু সমস্যার স্থায়ী সমাধান মেলেনি। এবারও প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন তাঁরা। চাতরা পঞ্চায়েতের প্রধান আসলাম উদ্দিন জানিয়েছেন, ইছামতি, যমুনা ও পদ্মা খালে পলি পড়ায় জলধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। যার ফলে প্রতিবছর বর্ষায় এই জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই ইছামতি নদীর সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে এবং খুব শিগগিরই পদ্মা ও যমুনার সংস্কার কাজও শুরু হবে। তবে প্রশ্ন উঠছে—২০২৫ সালের ডিজিটাল ও আধুনিক যুগে দাঁড়িয়ে এখনও কি এমন দুর্দশাগ্রস্ত ছবি দেখা উচিত? গ্রামের মানুষ আর কত বছর ভরসা রাখবেন প্রশাসনের আশ্বাসে? স্থায়ী সমাধানের জন্য জরুরি পদক্ষেপ কবে নেবে সরকার, সেদিকেই তাকিয়ে গ্রামবাসীরা।

জুলফিকার মোল্যা 

Scroll to Top