Tata Power-এর সৌর সমাধানের লক্ষ্য ভারতের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া

Tata Power-এর সৌর সমাধানের লক্ষ্য ভারতের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া

রোদ ঝলমলে দিন ভারতে বিশেষ জনপ্রিয় নয়, তবে এটি অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত লাভদায়ক হতে পারে। প্রতি বছর যদি অন্তত ৩০০ দিন রোদ ঝলমলে আবহাওয়া থাকে, তাহলে বছরে ৫০০০ ট্রিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা হিসেবে সৌর শক্তি উৎপাদনের সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে এক বছরে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায় তার তুলনায় কয়েক গুণ বেশি সৌর শক্তি উৎপাদন করার সম্ভাবনা রয়েছে।

গ্রামীণ এলাকাগুলিতে, প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য এখনও কাজ চলছে। এমন পরিস্থিতিতে এই বিষয়টি সামগ্রিক ভাবে গ্রামীণ জীবনের ছবি বদলে দিতে পারে।

সৌর শক্তি এবং স্বাস্থ্য

ভারতের বহু প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা এখনও গ্রিড-কানেক্টেড বিদ্যুতের সুবিধা পাননি এবং রাতের অন্ধকারে তাঁদের ভরসা শুধুই কেরোসিন, ডিজেল এবং কাঠের উনুন। বলা বাহুল্য, এগুলি মহিলা এবং শিশুদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। মূলধনের খরচ কমিয়ে এবং উদ্ভাবনী প্রাইসিং স্কিমের মাধ্যমে সৌর শক্তিকে আকর্ষণীয় বিকল্পে পরিণত করা যেতে পারে।

সাধারণ ভাবে, সৌরশক্তি বিকেন্দ্রীকৃত পদ্ধতিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর একাধিক প্রয়োগ রয়েছে, যেমন: আলো জ্বালানো, তাপ উৎপাদন, জল ফিল্টার করা এবং উৎপাদনশীলতা। যেমন, সৌর আলোর মাধ্যমে কেরোসিন লণ্ঠনের ব্যবহার কমানো সম্ভব। এই সৌর বাতিগুলি অতিরিক্ত 4-5 ঘণ্টা আলো প্রদান করবে, ফলে কাজ করার জন্য আরও বেশি সময় পাওয়া যাবে এবং সামগ্রিক ভাবে উৎপাদনশীলতা ও পরিবারের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে।

Tata Power-এর সৌর সমাধানের লক্ষ্য ভারতের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া

ভারতের গ্রামগুলিতে পরিষ্কার পানীয় জল পাওয়া দুষ্কর, তাই জল পরিস্রুত করার জন্যও বিদ্যুৎ প্রয়োজন। এখানেও, সৌরশক্তি বাকিদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। সম্প্রতি কোহিমার কাছে অবস্থিত সিসমা নামের একটি গ্রামে নাগাল্যান্ডে একটি সৌরশক্তি পরিচালিত জল পরিশোধনকারী প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। এই প্ল্যান্টে অত্যাধুনিক মেমব্রেন ফিল্টারেশান সিস্টেম কাজে লাগিয়ে বিশুদ্ধ পানীয় জল উৎপাদন করা হয়।

সৌরশক্তি এবং জীবনযাপন

সৌর বাতি থেকে সৌর মাইক্রোগ্রিড থেকে সৌর পাম্পে পরিবর্তন খুবই ক্ষুদ্র বিষয়, কিন্তু এর কার্যকারিতা অনেক বেশি।

সৌর মাইক্রোগ্রিড এমন এক ধরনের ইন্টিগ্রেটেড নেটওয়ার্ক যা সমগ্র জনজাতির জন্য সৌর শক্তি সংগ্রহ করা, স্টোর করে রাখা এবং বিতরণ করার কাজ করতে পারে। এই শক্তি পাওয়া যায় উচ্চ গুণমানসম্পন্ন সৌর প্যানেল এব ব্যাটারি দ্বারা গঠিত কেন্দ্রীয় ‘হাব’ থেকে, এবং প্রতিটি পরিবার এখান থেকে বিদ্যুৎ পেতে পারে।

ভারতে সৌর মাইক্রোগ্রিড একটি খরচ সাশ্রয়ী উপায়ে অন্যান্য খরচ সাপেক্ষ সমস্যার সমাধান করছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। Tata Power এর পুনর্নবীকরণযোগ্য মাইক্রোগ্রিড এই দেশকে নতুন দিশা দেখাচ্ছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ১০,০০০ মাইক্রোগ্রিড রোল-আউট করার পরিকল্পনা রয়েছে এই সংস্থার। এই সংস্থা ইতিমধ্যে উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে প্রায় ২০০ মাইক্রোগ্রিড ইনস্টল করেছে এবং ওড়িশার ১০-১৫টি গ্রামে একটি পাইলট মাইক্রোগ্রিড প্রোগ্রামের কাজ চলছে। মাইক্রোগ্রিড শুধুমাত্র ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে না, বরং যে কোনও দোকান, ওষুধের দোকান (রেফ্রিজারেশান করার জন্য), ইলেকট্রিক মোবিলিটি প্রদানকারী, টেলিকম টাওয়ার, কোচিং সেন্টার এবং রাস্তার ধারে খাবারের দোকানেও বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পারে- যা গ্রামে বসবাসকারী পরিবারগুলির গড় আয় বৃদ্ধিতে এবং তার পাশাপাশি শিক্ষা, ওষুধ ও চাকরির সুযোগ বেড়ে যাওয়ার ফলে জীবনযাপনের মান উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

ভারতের কৃষিকাজ অনেকাংশে বর্ষার উপরে নির্ভরশীল, মূলত প্রাকৃতিক সেচব্যবস্থার কারণে। তবে সেচের কাজে সাহায্য করার জন্য কৃত্রিম উপায় জল পৌঁছে দিতে পাম্পের ব্যবহার করা হয়। কৃষকরা এই পাম্প চালানোর জন্য মূলত গ্রিডের বিদ্যুৎ বা ডিজেল জেন-সেট ব্যবহার করেন, এতে প্রচুর সময় লাগে এবং আর্থিক বোঝা বেড়ে যায়। ফলে, আমাদের কৃষকদের জন্য সৌর জলের পাম্প-এর মতো কার্যকরী সেচ ব্যবস্থা অত্যন্ত লাভদায়ক হবে। এর মাধ্যমে সারা বছর ধরে চাষের জমিতে জল সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে যা নিঃসন্দেহে ফসলের ফলন বাড়াবে।

বর্তমানে যে ২৬ মিলিয়ন এগ্রি পাম্প ব্যবহার করা হয়, তার তুলনায় সৌর শক্তি দ্বারা চালিত একটি এগ্রি পাম্প ভারতীয় কৃষকদের উৎপাদনশীলতা অনেক বেশি উন্নত করার এবং পরিবেশ-বান্ধব বিকল্প প্রদান করার ক্ষমতা রাখে। বর্তমানে যেগুলি ব্যবহার করা হয়, তাদের মধ্যে ১০ মিলিয়ন ডিজেল-চালিত। এর মধ্যে মাত্র ১ মিলিয়ন পাম্পের বদলে যদি সৌর শক্তি-চালিত বিকল্প ব্যবহার করা হয়, তাহলে ডিজেলের ব্যবহার এক ধাক্কায় ৯.৪ বিলিয়ন লিটার কমে যাবে। ফলে কৃষকের ডিজেলের খরচ বাঁচবে। তার পাশাপাশি প্রায় ২৫.৩ মিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড কম উৎপন্ন হবে, এতে পরিবেশ বাঁচবে।

এই চাহিদা পূরণ করার জন্য Tata Power সোলার ভূপৃষ্ঠ এবং আংশিক নিমজ্জিত বিভাগের জন্য DC এবং AC, উভয় রেঞ্জের সৌর জলের পাম্প নিয়ে এসেছে। এই পাম্পগুলি দামি জ্বালানীর উপরে কৃষকদের নির্ভরশীলতা এবং চিরাচরিত সেচ ব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য তাঁদের যে বিপুল খরচ হয়, দুটিই কমাতে সাহায্য করবে। এখনও পর্যন্ত ভারতে ৭৬,০০০টি পাম্প ইনস্টল করার পাশাপাশি, আমাদের লক্ষ্য হল ভারতের প্রত্যেক কৃষককে জলের নিশ্চয়তা এবং আর্থিক নিশ্চয়তা প্রদান করা।

Tata Power হল ভারত সরকারের PM-KUSUM স্কিমের প্যানেলভুক্ত এজেন্সি, যার লক্ষ্য প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী ভারতীয় কৃষকদের সেচ ব্যবস্থা সম্পর্কিত চাহিদা পূরণ করা এবং সারা বছর তাঁদের জন্য স্থায়ী আয় নিশ্চিত করা। এর সৌর পাম্প সমাধানগুলি এখন খুচরো বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে, কারণ দেশের নানা প্রান্তে গ্রামীণ, অর্ধ-গ্রামীণ এবং শহুরে এলাকাতে এগুলি ইনস্টল করতে ইচ্ছুক গ্রাহকের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।

সৌর শক্তি এবং সৌর প্রযুক্তি একাধারে গ্রামীণ এলাকার তরুণ প্রজন্মকে রোজগারের সুযোগ করে দিয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবেল এনার্জি এজেন্সি (IRENA) জানাচ্ছে, ২০১৮ সালে ভারতীয় সৌর সেক্টর ১,১৫,০০০ চাকরির সুযোগ তৈরি করেছিল এবং এই সংখ্যা আগামী বছরগুলিতে ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। এই ব্যবস্থাগুলি মানুষ যত বেশি ব্যবহার করবেন, তত বেশি অর্ধ-দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বাড়বে- যাঁরা এই সিস্টেমগুলি ইনস্টল করতে এবং মেরামত করতে পারবেন। এই পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য Tata Power তাদের Tata Power স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে প্রতি বছর ৩০০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে এবং ভারত সরকারও পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ এবং গ্রামীণ তরুণ প্রজন্মের জন্য একাধিক প্রশিক্ষণ উদ্যোগে বিনিয়োগ করেছে।

সৌর শক্তি এবং ভারতীয় অর্থনীতি

ভারতীয় অর্থনীতি যত বৃদ্ধি পাচ্ছে তার ভ্যালু চেন-ও তত বেড়ে উঠছে, ফলত এখানে বিদ্যুতের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। ১৯তম ইলেকট্রিক পাওয়ার সার্ভে রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৬-১৭, ২০২১-২২ এবং ২০২৬-২৭ সালে সর্ব-ভারতীয় হিসেবে বিদ্যুতের ব্যবহার যথাক্রমে ৯২১ BU, ১৩০০ BU এবং ১৭৪৩ BU হবে। এই পরিসংখ্যান ২০৩৬-৩৭ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ৩০৪৯ BU হওয়ার কথা। বর্তমানে, ভারতের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা মাত্র ১৪৯১ BU, ২০২১-২২ সালের হিসেব অনুযায়ী। যেহেতু ভারত আর কোনও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে না, তাই পূর্বে উল্লেখিত বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করার একমাত্র পকেট-সাধ্য বিকল্প হল পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি।

২০১৯ সালে, বিশ্বজুড়ে ইনস্টল করা পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ শক্তির হিসেবে ভারত চতুর্থ স্থান অধিকার করেছিল, এই সম্মান অর্জনে ভারতকে সাহায্য করেছিল সৌর এবং বায়ুচালিত শক্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫০ গিগাওয়াট পুনর্নবীরণযোগ্য শক্তি উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছেন – এই পরিমাণ হল বর্তমান ক্ষমতার পাঁচ গুণ। যদি এই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হয়, তাহলে ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে তার মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে ৬০% জীবাশ্ম-জ্বালানী ব্যতীত অন্য মাধ্যম ব্যবহার করে উৎপন্ন করতে সক্ষম হবে, যেখানে প্যারিস প্লেজে এই লক্ষ্যমাত্রা ৪০% ধার্য করা হয়েছিল। এর ফলে ভারত জ্বালানী আমদানির পরিমাণ হ্রাস করে খরচ কমাতে পারবে, তা-ও এমন একটা সময়ে যখন জ্বালানীর দাম কোথায় গিয়ে পৌঁছবে তা অনুমান করা মুশকিল।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড SDG ইনভেস্টমেন্ট ম্যাপ অনুসারে, ক্লিন এনার্জি সোলার এনার্জি ক্ষেত্রে ভারত একাই $৭০০ বিলিয়নের বেশি বেসরকারি বিনিয়োগের সুযোগ প্রদান করছে এবং বিদ্যুতের এই চ্যালেঞ্জে ভারত ক্রমশ শীর্ষ স্থানের দিকে এগিয়ে চলেছে। ভারতের কাছে সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে যে, বেড়ে চলা অর্থনীতি হওয়া সত্ত্বেও ভারত তার বিদ্যুতের চাহিদা অভ্যন্তরীণ ভাবে পূরণ করতে সক্ষম- যা এই দেশের অর্থনীতি এবং পরিবেশ উভয়ের পক্ষে লাভদায়ক হবে। প্যারিস ক্লাইমেট কনফারেন্সে NDC কে আমাদের প্রয়োজনীয় মোট বিদ্যুতের ৪০% জীবাশ্ম-জ্বালানী ব্যতীত অন্য মাধ্যম ব্যবহার করে উৎপাদন করার কথা বলে ভারত সরকার সমালোচনার শিকার হয়েছিল। তবে ভারত সরকার এই প্রতিশ্রুতি প্রদান করতে সক্ষম হয়েছিল, কারণ তারা জানত Tata Power এর মতো বেসরকারি সংস্থা এই কাজে সাহায্য করবে এবং এই ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে তারা যথেষ্ট উন্নতি করেছে।

গ্রামীণ এলাকায় প্রায় ২০০টি মাইক্রোগ্রিডের পাশাপাশি, Tata Power ইতিমধ্যে রুফ-টপ সোলার ইনস্টলেশানের মাধ্যমে ১০০০ MW এর চেয়ে বেশি পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করে চলেছে, যা একে গত ৮ বছরে ভারতের ১ নম্বর সোলার EPC কোম্পানিতে পরিণত করেছে। শুধুমাত্র এই ইনস্টলেশানগুলির মাধ্যমে Tata Power এর গ্রাহকরা বিদ্যুতের বিলে গড়ে ৫০% পর্যন্ত সাশ্রয় করছেন এবং ৩০ মিলিয়ন+ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে।

উদ্ভাবনী প্রাইসিং যা আপফ্রন্ট খরচগুলি কমাতে সাহায্য করে, ফুল সার্ভিস ইনস্টলেশান এবং মেরামত এবং ২৫ বছরের ওয়ারেন্টি-সহ, Tata Power এক-একটি বাড়ির ছাদে নিজেদের অবদান স্থাপন করার মাধ্যমে ভারতকে ক্রমশ গ্রীন এনার্জি-পূর্ণ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে।

Tata Power একটি 4GW সৌর সেল এবং মডিউল ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষমতা তৈরি করছে, এর জন্য ₹৩,৪০০ কোটি বিনিয়োগ করছে। এর লক্ষ্য হল সৌর সেল ও ব্যাটারি আমদানির উপরে ভারতের নির্ভরশীলতা হ্রাস করা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, Tata Power প্রায় ৫১১৪ MW ক্লিন এনার্জি ক্ষমতা অর্জন করেছে এবং ২০০০+ EV চার্জিং স্টেশন স্থাপন করেছে। Tata Power এর ক্লিন এনার্জি ইনকিউবেশন সেন্টারে নতুন ক্লিন ও গ্রীন এনার্জি নিয়ে কাজ করা স্টার্টগুলিকে ইনকিউবেট করা হয়। এর উদ্দেশ্য হল গ্রীন এনার্জি প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পরবর্তী প্রজন্মে এমন উদ্ভাবনার জোয়ার নিয়ে আসা, যা ভারতকে সারা বিশ্বের মধ্যে শক্তি সাশ্রয়, উৎপাদন এবং সাস্টেনেবিলিটি-র জন্য শীর্ষস্থান অধিকার করতে সাহায্য করবে।

উপসংহার

Tata Power এর কাছে সাস্টেনেবিলিটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সম্প্রতি Network18 এ একটি স্বাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়ে Tata Power এর CEO এবং MD ডঃ প্রবীর সিংহ বলেন, ” Tata Power সাস্টেনেবিলিটি-র পথে চলতে শুরু করেছে আমাদের প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজী টাটা-র আদর্শ অনুসরণ করে, যিনি ১০০ বছর আগে একথা ভেবেছিলেন। আমাদের মিশন হল স্বচ্ছ, পর্যাপ্ত এবং পকেট-বান্ধব বিদ্যুৎ দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এই ভাবনা আধুনিক যুগে আরও বেশি প্রযোজ্য, বিশেষ করে যখন ক্লাইমেট চেঞ্জ বিশ্বজনীন সমস্যায় পরিণত হয়েছে।”

বর্তমানে Tata Power এর পোর্টফোলিও-র ৩২% হচ্ছে গ্রীন এনার্জি এবং এই পরিসংখ্যান ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০% এবং ২০৪৫ সালের মধ্যে ১০০% তে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। Tata Power হবে ভারতের প্রথম সংস্থা যারা ২০৪৫ সালের মধ্যে নেট জিরো টার্গেটে পৌঁছতে সক্ষম হবে। সাস্টেনেবল ইজ অ্যাটেনেবল- এই বিশ্বাস তারা বৃহত্তর জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চায়; যাতে লক্ষ লক্ষ ভারতীয়ের কাছে সাস্টেনেবল জীবনযাপন পদ্ধতি ‘অ্যাটেনেবল’ করে তোলা যায়। এর জন্য গ্রীন প্রোডাক্ট এবং সলিউশনের ব্যবহার কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাওয়া দরকার। এই সংস্থা তার গ্রাহকদের গ্রীন ট্যারিফ গ্রহণ করার মাধ্যমে গ্রীন পাওয়ার সাপ্লাই বেছে নেওয়ার বিকল্প দিতে শুরু করেছে।

ভারত যত স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে থাকবে এবং ভারতীয় উপভোক্তা এবং ব্যবসাগুলি যত বেশি পরিমাণে গ্রীন এনার্জি বেছে নেবেন, ভারত তত দ্রুত এমন ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে যেখানে সে সকলের সামনে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবে।

This is a Partnered Post

Published by:Ananya Chakraborty

First published:

Tags: Tata Power

Scroll to Top