Last Updated:

কলকাতা: দাদা না ভাই, ট্যাংরার দে বাড়িতে দুই মহিলা এবং নাবালিকার হাতের শিরা, গলা কেটে কে খুন করেছিলেন, সে বিষয়েই এখন নিশ্চিত হতে চাইছেন তদন্তকারীরা৷ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছোট ভাই প্রসূন দে দাবি করেছেন, গত মঙ্গলবার সকালে তিনিই শিরা কেটে নিজের স্ত্রী, বৌদি এবং মেয়েকে খুন করেছিলেন৷ যদিও তদন্তকারীদের প্রশ্ন, ভাই যদি শিরা কেটে খুন করে থাকেন তখন প্রসূনের দাদা প্রণয় কী করছিলেন? তদন্তকারীদের মনে সন্দেহ বাড়িয়েছে বাড়ির তিন তলা থেকে উদ্ধার হওয়া রক্তমাখা জামাকাপড়৷
দে বাড়ির ছোট ছেলে প্রসূনই যদি খুনি হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে বড় ভাই প্রণয় তাঁকে সাহায্য করেছেন বলেই মত তদন্তকারীদের৷ কারণ খুনের আগে ঘুমের ওষুধ মেশানো খাবার খেয়েছিলেন বাড়ির দুই মহিলা এবং নাবালিকা৷ দুই ভাইয়ের এখনও দাবি, আত্মহত্যা করবেন বলেই তাঁদের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মেশানো খাবার খেয়েছিলেন তাঁদের স্ত্রীরা৷ যদিও তাঁদের ছেলেমেয়েরা বিষয়টি জানত না৷
যদিও তদন্তকারীদের মনে প্রশ্ন, ঘুমের ঘোরে আচ্ছন্ন থাকলেও এত গভীর ভাবে হাতের শিরা কাটা সত্ত্বেও কেন প্রণয় এবং প্রসূনের স্ত্রী কেন টের পেলেন না? কোনও প্রতিরোধই কি করেননি সুদেষ্ণা এবং রোমি দে? সেক্ষেত্রে তদন্তকারীদের অনুমান, সম্ভবত দুই মহিলার হাত পা চেপে ধরে ভাইকে খুনে সাহায্য করেছিলেন দাদা প্রণয়৷
আরও পড়ুন: গাড়িতে মিলেছিল বিশেষ ওষুধ, এবার ঝোপের মধ্যে মিলল কী? আরও বিপাকে চণ্ডীতলার প্রাক্তন আইসি
তবে দুই ভাইয়ের বয়ানের সঙ্গে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মিলছে না৷ ময়না তদন্তের প্রাথমিক অনুসন্ধানে বলা হয়েছে ময়না তদন্তের ৩৬-৪৮ ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের৷ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রণয় ও প্রসূনের দাবি, ১৭ তারিখ অর্থাৎ গত সোমবার রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন সবাই৷ পর দিন সকালে তাঁদের দু জনের ঘুম ভাঙলেও বাড়ির মহিলারা ঘুমিয়ে ছিলেন৷ সেই সময় হাতের শিরা কাটা হয়েছিল। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, মৃত্যুর ৩ থেকে ৬ ঘণ্টা আগে শেষ খাবার খাওয়া হয়েছিল।
সে কারণেই তদন্তকারীদের ধারণা, ময়না তদন্তের অনুসন্ধান থেকে পুলিশ মনে করছে ১৮ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল বা দুপুরের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়া হতে পারে। তারপরেই বাড়ির দুই বৌ এবং নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সারাদিন একাধিক পাওনাদার দে বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করলেও কেউ কোনও সাড়াশব্দ দেননি৷ এরপর রাতে এলাকার মানুষ ঘুমিয়ে পড়ার পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল প্রণয় ও প্রসূনরা।
যদিও দে পরিবারের ছোট ছেলে প্রসূণ ও বড় ছেলের বয়ানের সঙ্গে ময়না তদন্তের অপিনিয়নের মধ্যে ফারাক পাচ্ছেন তদন্তকারীরা
Kolkata,West Bengal
February 22, 2025 10:51 AM IST
New Tunnel: ২০২২-এর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে… গঙ্গার নীচে ফের সুড়ঙ্গ ! কী হতে চলেছে কলকাতায়?