Last Updated:
যা জানা গেল তাঁদের মুখে তা অবাক হওয়ার মতোই। জানা গেল, কসবার ল কলেজে দিনের পর দিন হয় না ক্লাসই। তাহলে কী হয়? উত্তর এল, ‘পড়াশোনা বাদে সবই হয়’।

কলকাতা: কলেজ মানে একটা মহাসমুদ্রের মতো। স্কুলের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে একদম ফাঁকা ময়দান সেখানেই কাটাতে হবে এবার। থাকবে পড়াশোনা, থাকবে নতুন করে গজে ওঠা ডানারাও। যে ডানা উড়তে চাইবে, যে ডানকে আটকে রাখা কঠিন হবে। মনকে বুঝিয়ে সেই উড়তে চাওয়া ডানাকে সংযত শেখানোও একটা চ্যালেঞ্জ কলেজ জীবনে। কেউ পারে কেউ ভেসে যায় মনোজিৎ-এর মতো ভুল স্রোতে।
ল কলেজে ৫ বছরের পড়াশোনা হয়। পাঁচটা বছর কম কথা নয়। একজন পড়ুয়া তাঁর স্কুল জীবন পেরিয়ে বাবা-মার বাধাধরা নিয়ম পেরিয়ে সে আসবে সম্পূর্ণ ছকভাঙা এক দুনিয়ায়। সেখানে তাকে অভিযোজন শিখতে হবে, শিখতে হবে অভিব্যক্তিও। এককথায় মিলেমিশে যেমন থাকতে হবে তেমনই আবার নতুন কিছু সিস্টেমও নিজের মধ্যে যোগ করতে হবে।
কসবার ল কলেজের গণধর্ষণের ঘটনা চোখ খুলে দিয়েছে সকলের। ভাবছেন অভিভাবকেরা, চিন্তায় প্রশাসনও। ছোট-ছোট ছেলেমেয়েরা উকিল হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এই কলেজের এসেছে।কেউ প্রথম বর্ষ কেউ বা আবার দ্বিতীয়, কেউ তৃতীয় বা কেউ সবচেয়ে সিনিয়র।
আজ যখন জেনারেল বডির বৈঠক হওয়ার কথা তখন এক ঝাঁক কলেজ পড়ুয়া এসে জড়ো হলেন কলেজে। একাধিক সংবাদিক। এর আগে এই পড়ুয়ারা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি। আদৌও কখনও হতে হবে কি না তাও আবার এমন একটা বিষয় নিয়ে সেটাও তারা কল্পনা করতে পারেনি বলেই আমি নিশ্চিত।
যা জানা গেল তাঁদের মুখে তা অবাক হওয়ার মতোই। জানা গেল, কসবার ল কলেজে দিনের পর দিন হয় না ক্লাসই। তাহলে কী হয়? উত্তর এল, ‘পড়াশোনা বাদে সবই হয়’।
কলেজের ফাইনাল ইয়ারের এক স্টুডেন্ট বলছেন এখানে নিরাপত্তা নেই। একমাত্র গেটে একটিমাত্র সিসিটিভি। আই কার্ড চেক না করেই কলেজে প্রবেশ করতে পারে যে কেউ। ইউনিয়নের দাদা মনোজিৎ মিশ্রের প্রভাব কলেজের দেওয়াল থেকে কলেজের অন্দরে সর্বত্র।
এতকাল চুপ থাকার পর অবশেষে অভিযোগের সুর সোনা যাচ্ছে কসবার ল কলেজে। যে আগ্নেয়গিরি পৌঁছল কলেজের উপাধক্ষ্য নয়না চট্টোপাধ্যায়ের কান অবধি৷ বন্ধ করে রাখলেন ফোন। নির্বাক রইলেন এত কিছুর পরেও। উত্তর তো দিতেই হবে। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বেশ কিছু দাবির কথা তুলে ধরলেন কসবা ল কলেজের পড়ুয়ারা।
Kolkata,West Bengal
June 30, 2025 11:25 PM IST