Sikkim Disaster: সাংঘাতিক আকার নিয়েছে দুর্যোগ… মৃত বেড়ে ৪৪! সিকিম-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে ভয়াবহ পরিস্থিতি

Sikkim Disaster: সাংঘাতিক আকার নিয়েছে দুর্যোগ… মৃত বেড়ে ৪৪! সিকিম-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে ভয়াবহ পরিস্থিতি

Last Updated:

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং এবং মণিপুরের রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার সঙ্গে ফোনে বন্যা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

* ভয়াবহ আকার নিয়েছে উত্তর পূর্ব ভারতের দূর্যোগ পরিস্থিতি Sikkim Disaster: সাংঘাতিক আকার নিয়েছে দুর্যোগ… মৃত বেড়ে ৪৪! সিকিম-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে ভয়াবহ পরিস্থিতি
* ভয়াবহ আকার নিয়েছে উত্তর পূর্ব ভারতের দূর্যোগ পরিস্থিতি 

গ্যাংটক: অতিবৃষ্টি, ধস ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে উত্তর-পূর্ব ভারতের দুর্যোগ ভয়াবহ আকার নিয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন বন্যা মোকাবিলায় সব রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত কেন্দ্র। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং এবং মণিপুরের রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার সঙ্গে ফোনে বন্যা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবার অসম, অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী এবং মণিপুরের রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় সম্ভাব্য সকল সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অসম, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং মণিপুরের রাজ্যপালের সঙ্গে তাদের রাজ্যে চলমান ভারী বৃষ্টিপাতের পরিপ্রেক্ষিতে কথা বলা হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্ভাব্য সকল সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছি। মোদি সরকার উত্তর-পূর্বের জনগণের সমর্থনে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে।”

উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অসম। মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। এছাড়া অরুণাচল প্রদেশে ১২, মেঘালয়ে ৬, মিজোরামে ৫, সিকিমে ৩, ত্রিপুরায় ২, নাগাল্যান্ডে ১ ও মণিপুরে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাড়ে ৫ লক্ষের বেশি মানুষ। অসমের ২১টি জেলায় ১৫০৬টি গ্রামের ১৪,৭৩৯ হেক্টরেরও বেশি জমির ফসল ভেসে গিয়েছে জলমগ্ন হয়ে। ব্রহ্মপুত্র-সহ আরও ছয়টি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। অরুণাচল প্রদেশের ২৩টির অবস্থা শোচনীয়। ১৫৬টি গ্রামের ১৭০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই পরিস্থিতি সিকিম, মণিপুর, মিজোরামেরও। গত ১০ দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এখনও বিপদসীমার উপরে সমস্ত নদী। আবহাওয়া দফতর আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। ফলে ত্রাণকার্য ব্যাহত হচ্ছে, পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যায় পড়ছেন উদ্ধারকারীরা।সিকিম থেকে পর্যটকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন আছে NDRF ও সেনা জওয়ানরা।

Scroll to Top