Shantiniketan Tourism: অতীতের জঙ্গুলে অনুর্বর জমি আজ শিল্পের আকর! ঐতিহ্যের সেরা ঠিকানা শান্তিনিকেতনের আমার কুটির

Shantiniketan Tourism: অতীতের জঙ্গুলে অনুর্বর জমি আজ শিল্পের আকর! ঐতিহ্যের সেরা ঠিকানা শান্তিনিকেতনের আমার কুটির

Last Updated:

Shantiniketan Tourism: বোলপুর গেছেন আর আমার কুটির যাওয়া হয়নি,তাহলে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই জায়গা থেকে

X

Shantiniketan Tourism: অতীতের জঙ্গুলে অনুর্বর জমি আজ শিল্পের আকর! ঐতিহ্যের সেরা ঠিকানা শান্তিনিকেতনের আমার কুটির

বোলপুর 

সৌভিক রায়, বীরভূম: ভ্রমণপিপাসু বাঙালির দীঘা পুরি এবং মন্দারমনি দেখে মন ভরে গেলে ছুটে আসেন বীরভূম ভ্রমণে।বীরভূমের মধ্যে যেমন একাধিক দেখার জায়গা রয়েছে ঠিক তেমনি এক অন্যতম পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় জায়গা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোলপুর শান্তিনিকেতন। তবে বোলপুর শান্তিনিকেতনে প্রচুর দেখার জায়গা রয়েছে সেগুলি হয়তো সবকিছু দেখেছেন,তবে আপনি কী কোনওদিন দেখেছেন ‘আমার কুটির’? বীরভূমের বোলপুর স্টেশন থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই আমার কুটির। জানা যায় বল্লভপুর গ্রামে কোপাই নদীর ধারে জঙ্গলাকীর্ণ এবং পরিত্যক্ত অনুর্বর বিঘা পঁচিশেক জমির বন্দোবস্ত পান সুষেণবাবু তাঁর পল্লী উন্নয়ন কাজের জন্য।

এই জমিতেই ১৯২৩ সালে গ্রামের লোকদের সঙ্গে নিয়ে কাপড় ছাপার ছোট একটি কারখানা স্থাপন করলেন তিনি, যার নাম দিলেন ‘আমার কুটির’। পরে এক এক করে বাটিক ও চামড়ার ব্যাগ তৈরির কাজ শুরু হয় এখানে। দেশপ্রেমিকদের জন্য অবারিত দ্বার ছিল এই ‘আমার কুটির’। এ ভবনের নামকরণ সম্পর্কে বোলপুর শান্তিনিকেতনের একজন পথপ্রদর্শক বলেন—‘যিনিই এখানে বাস করেছেন, তিনিই যেন এটিকে তাঁর নিজের কুটির বলে ভাবেন।’তাই এই জায়গার নাম দেওয়া হয় আমার কুটির।

আপনি যদি কলকাতা হাওড়া অথবা শিয়ালদা স্টেশন থেকে যে কোনও লোকাল অথবা এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে বোলপুর স্টেশন পৌঁছে যান তাহলে সেই বোলপুর স্টেশন থেকে আপনি টোটো করে নিতে পারেন। আপনি চাইলে অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে টোটো বুকিং করে নিতে পারবেন। সেখান থেকে টোটো ভাড়া করে আপনি বোলপুর শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে নিন। তারপরে আপনি সেখান থেকে পৌঁছে যান সোনাঝুরির খোয়াই হাট। সেখান থেকে আপনি পৌঁছে যাবেন বল্লভপুর গ্রাম যেখানে অবস্থিত এই আমার কুটির।

‘আমার কুটির’-এ উৎপাদিত নানা হস্তশিল্প-সামগ্রী নিয়ে বছরের বিভিন্ন সময়ে বেঙ্গালুরু, পুণে, গোয়া, মুম্বই, বিহার ও কলকাতায় অনুষ্ঠিত নানা প্রদর্শনীতে নিয়মিত যোগ দেয় এই প্রতিষ্ঠান।সারা দেশের মধ্যে পুণের বাজারই সবচেয়ে ভাল বলে জানা যায়।স্বাধীনতা পূর্ব ভারতবর্ষে গড়ে ওঠা ‘আমার কুটির’-এর অনেক পরিবর্তন ঘটেছে স্বাধীন ভারতে। তবু পল্লী উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল গ্রামীণ মানুষদের হস্তশিল্প অনুশীলনের মধ্য দিয়ে কর্মমুখী এবং স্বাবলম্বী করে তোলার ধারাটিকে সে বজায় রেখেছে আজও। তাই এবার পরিবার নিয়ে বোলপুর ভ্রমণে গেলে বাড়ির আত্মীয়-স্বজনদের জন্য কিছু কিনতে চাইলে ঘুরে আসুন এই আমার কুটির থেকে।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/

Shantiniketan Tourism: অতীতের জঙ্গুলে অনুর্বর জমি আজ শিল্পের আকর! ঐতিহ্যের সেরা ঠিকানা শান্তিনিকেতনের আমার কুটির

Scroll to Top