SBI Life: অসাধারণ প্রতিভা: এসবিআই লাইফের ‘স্পেল মাস্টার অফ ইন্ডিয়া’ খেতাব জয় ছায়া এমভির

SBI Life: অসাধারণ প্রতিভা: এসবিআই লাইফের ‘স্পেল মাস্টার অফ ইন্ডিয়া’ খেতাব জয় ছায়া এমভির

SBI Life: অসাধারণ প্রতিভা: এসবিআই লাইফের ‘স্পেল মাস্টার অফ ইন্ডিয়া’ খেতাব জয় ছায়া এমভির

আরটি নগরের প্রেসিডেন্সি স্কুলের ১৩ বছর বয়সী পড়ুয়া ছায়া, ভাষার মার-প্যাঁচকে নিজের আয়ত্ত্বে এনে চূড়ান্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় তার যাত্রা শেষ হয়েছিল গ্র্যান্ড ফিনালেতে। যেখানে নির্ভুলভাবে জটিল বানান সমাধানের ক্ষেত্রে তার আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে। ‘স্পেল মাস্টার অফ ইন্ডিয়া’ শুধুমাত্র তার কৃতিত্বকেই তুলে ধরে না, বরং অনুষ্ঠানের চেতনাকেও তুলে ধরে, যার লক্ষ্য দেশের তরুণ প্রজন্মকে তাদের স্বপ্নকে বুনতে এবং সম্ভাবনাগুলি উপলব্ধি করতে অনুপ্রাণিত করা।

আরও পড়ুন– সমুদ্র থেকে মাছ এনে রান্না চাপানোর তোড়জোড় করছিলেন, তারপরেই আতঙ্কে চেঁচিয়ে উঠলেন, খাওয়াই হল না আর! ভাইরাল ভয়ঙ্কর দৃশ্য

তারকা খচিত ফিনালে

গ্র্যান্ড ফিনালেটি হোস্ট করেছিলেন বহু-প্রতিভার অধিকারী মন্দিরা বেদী। যিনি একজন অভিনেত্রী, ফ্যাশন ডিজাইনার এবং টেলিভিশন উপস্থাপক। অনুষ্ঠানের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল তাঁর বুদ্ধি ও গ্ল্যামার। বিজয়ীদের নাম ঘোষণার সময় এক অবিস্মরণীয় পরিবেশ তৈরি করেছিলেন তিনি, দর্শকদের উল্লাস ফেটে পড়েছিল। ছায়ার হাতে পুরস্কার হিসেবে ১ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া হংকং-এর ডিজনিল্যান্ডে বাবা-মাকে নিয়ে বিনামূল্যে ভ্রমণের সুযোগও দেওয়া হয়েছে তাকে।

দুই রানার্স আপ, জয়পুরের মেধংশ ভাদ্দাদি এবং হায়দরাবাদের যশউইন পাচৌরির পারফরম্যান্সও ছিল খুবই ভাল। এই অনুষ্ঠানে অক্ষরের প্রতি তাদের দক্ষতার পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। প্রতিযোগিতায় তাদের অংশগ্রহণ দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে থাকা প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব এবং প্রতিভাকে তুলে ধরে, প্রমাণ করে যে পরবর্তী প্রজন্ম বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারদর্শী হওয়ার জন্য প্রস্তুত।

আরও পড়ুন– অবিবাহিত জুটির জন্য বন্ধ OYO-র দরজা, কিন্তু তাতে কী? সঙ্গীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর জন্য রয়েছে আরও বিকল্প, ঘণ্টার ভিত্তিতেও মিলবে পরিষেবা

ভাষার সঙ্গে কণ্ঠস্বর উন্নত করা

এই বছরের থিম, ‘বি স্পেলবাউন্ড’, যা ভাষার রূপান্তরকারী শক্তি এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে বানানের গুরুত্বের উপর জোর দেয়। তরুণরা যাতে নিজেদের আগ্রহগুলিকে খুঁজে বের করে, তাদের দক্ষতার বিকাশ করতে পারে, তার জন্য এই প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছিল এসবিআই লাইফ। লক্ষ্য ছিল তরুণদের ক্ষমতায়ন। কর্পোরেট কমিউনিকেশন্সের প্রধান ও এসবিআই লাইফ ইনস্যুরেন্স-এর সিএসআর রবীন্দ্র শর্মা নিজের অনুভূতির কথা জানিয়ে বলেন, “এসবিআই লাইফ স্পেল বি সিজন ১৪-এর আরেকটি অধ্যায়ের সমাপ্তির সঙ্গে, আমরা শুধু বিজয়ীদেরই নয়, অভিনন্দন জানাতে চাই সমস্ত শিশু যারা অবিশ্বাস্য উৎসাহ ও দৃঢ়তার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছিল। প্রাথমিক সুযোগগুলির গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ক্ষমতাতে আমরা বিশ্বাস করি, কারণ সেটাই স্থায়ী ও অর্থপূর্ণ প্রভাবের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে, আমরা তরুণ প্রজন্মের সামনে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছি যা তাদের চিন্তাভাবনাকে মুক্ত করতে ও স্বপ্নগুলি অনুসরণ করার ক্ষমতা দেয়। পাশাপাশি তাদের প্রিয়জনদের জীবনে অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে তাদের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে। আমরা বিশ্বাস করি যে প্রতিটি শিশুর অনন্য ক্ষমতা রয়েছে তাই তাদের সামনে সঠিক প্ল্যাটফর্ম তুলে ধরা উচিত। আমরা এমন একটি পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই যা প্রতিনিয়ত শিক্ষা ও বিকাশকে উৎসাহিত করে।’’

তিনি আরও বলেন, “এসবিআই লাইফে আমরা নতুন প্রজন্মের বিকাশে দায়বদ্ধ যা শুধু তাদেরই নয় তাদের প্রিয়জনদেরও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ সুগম করে। এই বিশ্বাস আমাদের “নিজের জন্য এবং নিজেদের জন্য” দর্শনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এসবিআই লাইফ স্পেল বি -এর সঙ্গে আমাদের লক্ষ্য হল নিরন্তর সাহায্যের একটা ধারা তৈরি, যা ভবিষ্যতে তরুণদের উচ্চাকাঙ্খাকে বাস্তবায়িত করতে পারবে। এই পদক্ষেপ আমাদের নতুন প্রজন্মের বিকাশের চেষ্টাকেই প্রতিফলিত করে এবং সফল হওয়ার পাশাপাশি তাদের জাতীয় স্তরে নাম করতে সাহায্য করে।”

এসবিআই লাইফ আয়োজিত স্পেল বি প্রতিযোগিতায় বাবা-মায়ের ক্ষমতায়নের প্রতি তার প্রতিশ্রুতিকে সুন্দরভাবে প্রতিফলিত করে। আর্থিক ভাবনা ছাড়াই সন্তানের স্বপ্নকে উৎসাহিত করতে সক্ষম করে তোলে। এমন একটি পরিবেশ গড়ে তোলা হয় যেখানে তরুণ প্রতিভা উজ্জ্বল হতে পারে, স্বপ্নকে লালন-পালন ও বৃদ্ধিতে ক্রমাগত অনুপ্রেরণা দেওয়ার মাধ্যমে ব্র্যান্ডের চিন্তাভাবনা বাস্তবায়িত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এসবিআই লাইফ।

প্রাণবন্ত এই প্রতিযোগিতার, সাম্প্রতিক সিজনে ৩০টি শহরের প্রায় ৫০০টি স্কুল থেকে ২ লাখেরও বেশি পড়ুয়া যোগ দিয়েছিল। এই উল্লেখযোগ্য যাত্রা শুধু ব্যতিক্রমী ভাষাগত সক্ষমতারই উদযাপন করে না, শেখার অদম্য ইচ্ছাকেও বাড়িয়ে তোলে এবং সবার জন্য শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে আরও একবার প্রতিষ্ঠিত করে। একসঙ্গে, আমরা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের বীজ রোপণ করছি, যেখানে প্রতিটি শিশু আত্মবিশ্বাস এবং আনন্দের সঙ্গে তাদের স্বপ্নগুলি অনুসরণ করতে পারে।

ক্ষমতায়নের ভবিষ্যৎ

জয়ের পর ছায়া এম ভি তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে, পাশাপাশি তার যাত্রাকে একটি আনন্দদায়ক বিস্ময় বলে বর্ণনা করেছে। সে বলে, “জেতার পর আমার খুব ভালো লেগেছে। আমরা যখন প্রথম রাউন্ডের পরীক্ষা এমসিকিউ হিসেবে পেয়েছি, তখন সতর্কতা অবলম্বন করেছিলাম এবং প্রথম প্রায় ৭০টি শব্দের জন্য কম আশা নিয়ে শুরু করেছিলাম। শুধুমাত্র যোগ করা বিকল্পগুলির কারণে আমার মতে এগুলি ছিল এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে কঠিন শব্দ। আমি যখন আঞ্চলিক এবং পরে জাতীয় পর্যায়ে যোগ্যতা অর্জন করি, তখন প্রথম দশে পৌঁছানোর জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছিলাম! তবে এই যাত্রার অভিজ্ঞতা খুবই সুন্দর ছিল, যার মাধ্যমে কিছু ভাল মানুষ ও জায়গার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে। আমি খুব বেশি অনুশীলন করিনি, তবে আমি প্রচুর বই পড়তাম এবং বিভিন্ন শব্দের মুখোমুখি হতাম, বিশেষ করে কল্পনা থেকে। আমার এই ভাললাগার জন্যই আমি এই সাফল্য পেয়েছি বলে মনে হয়। আমার পরিবার, শিক্ষক ও বন্ধুদের থেকে প্রচুর সমর্থন পেয়েছি।”

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তোলা

যেহেতু ভারতে একটা বিশাল প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে তাই এই পরিস্থিতি এসবিআই লাইফের স্পেল বি তরুণদের প্রতিভার লালন করতে ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে। এই উদ্যোগটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অর্জনগুলিকেই উদযাপন করে না, সেই সঙ্গে এই সাফল্যে পরিবারের সমর্থনের অপরিহার্য ভূমিকাকেও তুলে ধরে৷ এসবিআই লাইফের মূল চিন্তাভাবনা হল- উৎকর্ষকে সক্ষম করার জন্য স্বপ্নগুলিকে সুরক্ষিত করা- স্পেল বি তরুণ স্বপ্নগুলিকে তাদের সত্যিকারের সম্ভাবনা এবং তাদের ভাললাগা গুলিকে উপলব্ধি করতে সাহায্য করার জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।

এসবিআই লাইফ স্পেল বি সিজন ১৪ শুধুমাত্র একটি বানান প্রতিযোগিতা নয়, এটি পরবর্তী প্রজন্মের স্বপ্নগুলিকে বাস্তবায়িত করার প্রতিশ্রুতি দেয়। ছায়া এম ভি-র মতো চ্যাম্পিয়নদের প্রতিভা থেকেই আমরা বুঝতে পারি যে কীভাবে অটুট পারিবারিক সমর্থন ভবিষ্যতকে একটি রূপ দিতে পারে। আমরা শুধু বিজেতা তৈরি করি না, আমরা একটা প্রজন্মকে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ ও শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের সাহস জোগাই। এটা প্রমাণ করে যে স্বপ্ন যখন লালন করা হয় তার সঙ্গে অসাধারণ সাফল্যও অপেক্ষা করে থাকে। এসবিআই লাইফের আসল লক্ষ্য হল- স্বপ্ন ও সমর্থনের মাধ্যমে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে তৈরি করা।

Scroll to Top