Rhino Census: ক্যামেরাতেই কাজ শেষ নয়, গণ্ডার গণনায় ব্যাপক কাঠখড় পোড়াতে হয় বনকর্মীদের! ডুয়ার্সে গণনা শুরু হতেই জানা গেল সেই পদ্ধতি

Rhino Census: ক্যামেরাতেই কাজ শেষ নয়, গণ্ডার গণনায় ব্যাপক কাঠখড় পোড়াতে হয় বনকর্মীদের! ডুয়ার্সে গণনা শুরু হতেই জানা গেল সেই পদ্ধতি

Last Updated:

কীভাবে হয় গন্ডার শুমারি জানেন?

X

Rhino Census: ক্যামেরাতেই কাজ শেষ নয়, গণ্ডার গণনায় ব্যাপক কাঠখড় পোড়াতে হয় বনকর্মীদের! ডুয়ার্সে গণনা শুরু হতেই জানা গেল সেই পদ্ধতি

গণ্ডার

জলপাইগুড়ি: গরুমারা ও চাপড়ামারিতে গন্ডার গণনা শুরু! কীভাবে হয় এই গন্ডার শুমারি জানেন? ২০২২ সালের শুমারির পর এবছর বন দফতরের আশা সংখ্যা বৃদ্ধি হবে গন্ডারের। এদিন ভোরের সূর্যালোকের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে গরুমারা জাতীয় উদ্যান ও চাপড়ামারি অভয়ারণ্যে ও জলপাইগুড়ি রেঞ্জে গন্ডার গণনার কাজ। জলপাইগুড়ি ডিভিশনের নাথুয়া রামসাই, মেদলা ও সংলগ্ন জঙ্গলে দুই দিন ধরে চলবে এই শুমারি। বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, মার্চের ৫ ও ৬ তারিখ গন্ডার গণনার জন্য পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গণনার জন্য গঠিত হয়েছে ৩৭টির বেশি দল, যারা আধুনিক প্রযুক্তি এবং ট্র্যাপ ক্যামেরা ব্যবহার করে সঠিক তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাবে। পাশাপাশি, কুনকি হাতি, গাড়ি এবং হেঁটে অনুসন্ধানের মাধ্যমেও গন্ডারের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।

বন দফতরের আশা, ২০২২ সালের শেষ গণনায় পাওয়া ৫৫টি গন্ডারের তুলনায় এবার সংখ্যাটি বাড়বে। সাধারণ মানুষ অনেকেই জানেন না কীভাবে হয় এই গন্ডার গণনার কাজ। বনাধিকারীদের কথায়, বনের বিভিন্ন জায়গায় স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা বসানো হয়, যা গন্ডারের গতিবিধি ও উপস্থিতি রেকর্ড করে। এসব ছবি বিশ্লেষণ করেই সংখ্যার হিসাব করা হয়। বিশেষ প্রশিক্ষিত হাতির পিঠে চড়ে বনকর্মীরা গভীর জঙ্গলে ঢোকেন, যেখানে গাড়ি বা হাঁটা পথেও যাওয়া কঠিন। তারা গন্ডারের চলাচলের দাগ ও উপস্থিতি নথিভুক্ত করেন। অভিজ্ঞ বনকর্মীরা হেঁটে জঙ্গলের মাটিতে গন্ডারের খুরের ছাপ, বিষ্ঠা ও আঁচড়ের চিহ্ন পরীক্ষা করেন। এই পদ্ধতি থেকে গন্ডারের আনুমানিক সংখ্যা জানা যায়।

আরও পড়ুন: লোকাল ১৮ -এর খবরের জের, রাতে শুয়ে তারা গোনার দিন শেষ শান্তি মণ্ডলের

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

এছাড়াও, যেসব এলাকায় রাস্তা রয়েছে, সেখানে বনকর্মীরা গাড়িতে করে গন্ডারের সন্ধান চালান ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন। পরিবেশপ্রেমীদেরও এই শুমারির দিকে নজর রয়েছে। বন দফতরের তরফে দ্বিজপ্রতিম সেন জানিয়েছেন, “এই গণনা শুধু সংখ্যা নির্ধারণের জন্য নয়, ভবিষ্যতের সংরক্ষণ পরিকল্পনার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” গন্ডারের সংখ্যা বাড়লে তা যেমন আশার সঞ্চার করবে, তেমনই প্রকৃত তথ্য উঠে এলে সংরক্ষণে আরও দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সুরজিৎ দে

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/

Rhino Census: ক্যামেরাতেই কাজ শেষ নয়, গণ্ডার গণনায় ব্যাপক কাঠখড় পোড়াতে হয় বনকর্মীদের! ডুয়ার্সে গণনা শুরু হতেই জানা গেল সেই পদ্ধতি

Next Article

Siliguri News: দেখা মিলবে লাভ বার্ড, কোকাটেল, কান্নুরের! লাখ লাখ টাকা খরচে এই পার্কে তৈরি হল অভিনব পাখিঘর

Scroll to Top