
স্করপিয়ন-শ্রেণীর সাবমেরিনের মূল্য ৩৬,০০০ কোটি টাকা: দ্বিতীয় প্রধান চুক্তিটি হল ৩৬,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি নতুন স্করপিয়ন-শ্রেণীর সাবমেরিন নির্মাণ। এই সাবমেরিনগুলো বিদ্যমান কালভারি-শ্রেণীর চেয়ে বড় এবং আরও উন্নত হবে, যাতে ৬০% দেশীয় উপাদান থাকবে। এদের নকশা হবে ব্রাজিলিয়ান নৌবাহিনীতে সরবরাহ করা সাবমেরিনের মতো। প্রথম স্করপিয়ন সাবমেরিনটি ৬ বছরের মধ্যে প্রস্তুত হবে, বাকি দুটি সাবমেরিন প্রতি বছর সরবরাহ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বর্তমানে, ভারতীয় নৌবাহিনীতে ১৬টি সাবমেরিন রয়েছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা উদ্বেগ (বিশেষ করে ভারত মহাসাগরে চিনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি এবং পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান সাবমেরিন সক্ষমতা) ভারতকে সাবমেরিনের সংখ্যা এবং মান বাড়াতে বাধ্য করেছে। চিনের বর্তমানে ৩৫৫টিরও বেশি যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিন রয়েছে, যা এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনীতে পরিণত করেছে। প্রতিক্রিয়া হিসেবে, ভারত ২০৩৫ সালের মধ্যে ১৭৫টি জাহাজের একটি নৌবাহিনী তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। বর্তমানে, ভারতে ১৩০টিরও বেশি জাহাজ রয়েছে এবং ৬১টি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণাধীন স্তরে রয়েছে।