Plastic Road: ৪৭ কিমি রাস্তায় দিচ্ছে ইউনিসেফের স্বীকৃতি! বাংলার বুকে নজির গড়তে চলেছে এই এলাকা

Plastic Road: ৪৭ কিমি রাস্তায় দিচ্ছে ইউনিসেফের স্বীকৃতি! বাংলার বুকে নজির গড়তে চলেছে এই এলাকা

Last Updated:

ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি গ্রামে এমনই অভিনব উদ্যোগের স্বীকৃতি ইউনিসেফের

X

Plastic Road: ৪৭ কিমি রাস্তায় দিচ্ছে ইউনিসেফের স্বীকৃতি! বাংলার বুকে নজির গড়তে চলেছে এই এলাকা

প্লাস্টিকের রাস্তা তৈরির কাজ

জলপাইগুড়ি: রাস্তায় ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়েই তৈরি স্বপ্নের রাস্তা! অবাক হচ্ছেন? ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি গ্রামে এমনই অভিনব উদ্যোগের স্বীকৃতি ইউনিসেফের। রাস্তার ধারে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত প্লাস্টিকই বদলাচ্ছে এক গোটা গ্রামের চেহারা। জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে তৈরি হল এমন এক নজির, যা স্বীকৃতি পেল ইউনিসেফের কাছ থেকেও।

জমে থাকা প্লাস্টিক এখন শুধু বর্জ্য নয়, উন্নয়নের জ্বালানী। খাগড়াবাড়ির সলিড ও প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিটে প্রতিদিন শহর ও গ্রামের কোণা কোণা থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে এই অপচনশীল বর্জ্য। বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে প্লাস্টিক গুঁড়ো করে মেশানো হচ্ছে বিটুমিনাসের সঙ্গে। আর তাতেই তৈরি হচ্ছে মজবুত, শক্তপোক্ত রাস্তা।ইতিমধ্যেই ৪৭ কিলোমিটারেরও বেশি গ্রামীণ রাস্তা তৈরি হয়েছে এই প্রযুক্তিতে।

প্রশাসনের দাবি, এই রাস্তা সাধারণ রাস্তাগুলোর তুলনায় বেশি শক্তপোক্ত ও দীর্ঘস্থায়ী। এই উদ্যোগের সুবাদে যেমন এলাকাজুড়ে পরিচ্ছন্নতা ফিরছে, তেমনই তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থানের সুযোগও। মহিলা-পুরুষ মিলিয়ে বহু মানুষ যুক্ত হয়েছেন এই প্রকল্পে। প্রতিদিন ২০২ টাকা হারে মজুরি পাচ্ছেন শ্রমিকেরা।

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সবচেয়ে বড় কথা, এই প্রকল্পের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনিসেফ। তাদের প্রতিবেদনে এই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা মডেলকে উন্নয়ন ও পরিবেশ রক্ষার এক দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ যেন এক আশার রাস্তা—যেখানে প্লাস্টিক নয়, পথ দেখাচ্ছে পরিবর্তন, স্বচ্ছতা ও স্বনির্ভরতার।

সুরজিৎ দে

Scroll to Top