Last Updated:
Pakistani Spy: ৯ বছর ধরে পাকিস্তানের বাসিন্দা এক মহিলা চাকরি করছিলেন বরেলির প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে। কিন্তু কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে তার আর কোনও খোঁজ মিলছে না।

বরেলি: উত্তরপ্রদেশের বরেলির প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের গাফিলতি, এই মুহূর্তে গোটা দেশের নজরে। গোটা দেশের নিরাপত্তাকে চরম বিপদে ফেলে দিয়েছে বললেও অত্যুক্তি হবে না। গত ৯ বছর ধরে পাকিস্তানের বাসিন্দা এক মহিলা চাকরি করছিলেন বরেলির প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে। কিন্তু কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে তার আর কোনও খোঁজ মিলছে না। এরপরই বিষয়টি বিভাগীয় কর্মকর্তারা, ডিএম বা এসএসপিকে জানান। এই মুহূর্তে গোয়েন্দা সংস্থা-সহ পুলিশের আটটি টিম তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে, যদিও তারপরেও এখনও তার কোনও সন্ধান মেলেনি।
বর্তমানে বরেলির ডিএম শহরের দুই সিনিয়র পিসিএস অফিসার, এডিএম এবং ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে একটি যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং পুরো বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পাকিস্তানের বাসিন্দা সুমাইলা খানকে নিয়ে উদ্বিগ্ন বরেলির গোটা পুলিশ ও প্রশাসনিক দফতর। সারা দেশের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলি পাকিস্তানের এই জঙ্গি হামলায় অত্যন্ত বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকলেও, এই পাকিস্তানি মহিলা সুমাইলা খান কোথায় আচমকা উবে গেলেন, তা নিয়ে তোলপাড় চলছে।
পাকিস্তানের বাসিন্দা সুমাইলা খান ভুয়ো নথির ভিত্তিতে ২০১৫ সালে বরেলি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে শিক্ষকতার চাকরি পান। ৯ বছর ধরে বিভাগীয় কর্মকর্তারা সুমাইলা খানকে পশ্চিম ফতেহগঞ্জের মাধোপুর সরকারি স্কুলে চাকরি করতে সহযোগিতা করেন। এমনকি দু’বছর আগে যখন সুমাইলা খানের পাকিস্তানি হওয়ার বিষয়টি সামনে আসে, তখন বিভাগীয় কর্মকর্তারা তদন্তের নামে ডিএম বা এসএসপিকে না বলে ফাইলটি নিজেদের কাছে রেখে দেন। ফলে কোনও তদন্তই হয়নি। সেই তথ্য কিছুদিন আগে ফাঁস হলেও সুমাইলার উধাও হয়ে যাওয়া বেশ রহস্যজনক।

সুমাইলা খান নামে ওই মহিলাকে বরখাস্ত করে রিকভারি অর্ডার জারি হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে পাকিস্তানের ন্যক্কারজনক আচরণের পর গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলি দেশের নিরাপত্তা নিয়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। সেই আবহে সুমাইলা খানের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে। পাকিস্তানি নারী সুমাইলা খান ৯ বছরে বরেলি ও আশপাশের এলাকা থেকে কী সংগ্রহ করেছেন? তার কাজ কী ছিল? কর্মকর্তাদের কারও কাছেই তার উত্তর নেই।

এই মুহূর্তে যখন পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত থেকে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তখন দেশের অভ্যন্তরে সুমাইলা খানের অন্তর্ধান বড় প্রশ্নের মুখে। বরেলির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অবিনাশ সিং পিসিএস বিভাগের দুই সিনিয়র অফিসার, এডিএম এবং সিটি ম্যাজিস্ট্রেটের একটি যৌথ দল গঠন করে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের গাফিলতির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পাকিস্তানি মহিলা সুমাইলা খান কীভাবে ৯ বছর বরেলিতে ছিলেন? ফতেহগঞ্জ পশ্চিম থানায় সুমাইলা খানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন হল, বরেলির প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা কেন সময়মতো পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের এই গোটা বিষয়টি জানালেন না? পাকিস্তানি সুমাইলা খানের কর্মকাণ্ড যদি দেশবিরোধী হয়, তাহলে তার দায় কে নেবে? সেটাই এখন দেখার বিষয়।
Kolkata,West Bengal
May 01, 2025 11:26 AM IST
Pahalgam Terror Attack: নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কেন সংঘর্ষবিরতি পাকিস্তানের? হটলাইনে কারণ জানতে চাইলেন সেনার ডিরেক্টর জেনারেল