Last Updated:
পাইপের টুকরো সংগ্রহ করতে শুরু করেন তিনি। তারপর সেগুলিকে ব্যবহার করে বাঁশি তৈরির কাজ শুরু করেন।
নিজের হাতে তৈরি পিভিসি পাইপের বাঁশি নিয়ে জিতের লুই দত্ত।
আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : যদি লক্ষ্য স্থির থাকে, যদি মনের ইচ্ছার জোর থাকে, তাহলে লক্ষ্য পূরণ অসম্ভব নয়। হয়তো দেরি হবে। কিন্তু সফলতা আসবেই। তারই জীবন্ত প্রমাণ আসানসোলের জিতেন লুই দত্ত। আসানসোল রবীন্দ্র ভবনের অস্থায়ী সাউন্ড অপারেটর। বাঁশি বাজানো তাঁর নেশা। তবে সাধারণ বাঁশি নয়। নিজের হাতে তৈরি পিভিসি পাইপের বাঁশিতে সুর তোলেন তিনি।
আসানসোল চেলিডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা জিতেন লুই দত্ত। ছোট থেকে বাঁশি বাজানো নিয়ে ভবিষ্যৎ তৈরির পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু আর্থিক অসঙ্গতি সেই ইচ্ছার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু থেমে যাননি জিতেন বাবু। উল্টে বাঁশি কেনার বদলে নিজের হাতেই বাঁশি তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। পানীয় জল সরবরাহের জন্য যে সমস্ত পিভিসি পাইপের ব্যবহার করা হয়, সেই পাইপ ব্যবহার করে তিনি তৈরি করে ফেলেছেন একাধিক বাঁশি।
শুরুটা হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। যে সময় আসানসোলে রবীন্দ্রভবন তৈরি হচ্ছিল, তখনই সেখানে ব্যবহৃত বিভিন্ন পিভিসি পাইপের টুকরো সংগ্রহ করতে শুরু করেন তিনি। তারপর সেগুলিকে ব্যবহার করে বাঁশি তৈরির কাজ শুরু করেন। প্রথমেই সফলতা আসেনি। কিন্তু ধীরে ধীরে রবীন্দ্র ভবনের এই অস্থায়ী সাউন্ড অপারেটর সাফল্য পেয়েছেন। একাধিক বাঁশি তৈরির পর এখন পিভিসি পাইপের তৈরি বাঁশিতে মন মাতানো সুর তোলেন তিনি।
জিতেন বাবুর এক সহকর্মী জানিয়েছেন, একজন অত্যন্ত ভাল মানুষ তিনি। সাউন্ড অপারেটর হিসেবে যথেষ্ট দক্ষ। তবে বাঁশি নিয়ে তাঁর এই কর্মকাণ্ড অবাক করে দেয় তাদেরও। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জিতেন। তরপরে এসেছে সফলতা। কিন্তু সাধারণত আমরা যে বাঁশি দেখি, তার বদলে পিভিসি পাইপ ব্যবহার করে তিনি বাঁশি তৈরি করেন। আবার তাতেই সুরও তোলেন। যে সুর মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতে বসে যান অনেকেই।
নয়ন ঘোষ
Kolkata,West Bengal
December 13, 2024 6:43 AM IST