North 24 Parganas News: কমবয়সীদের হাতে বাইক, রাতের অন্ধকারে রেষারেষি! উৎসবের আনন্দে পথ দুর্ঘটনায় আহত ৮, মৃত ১

North 24 Parganas News: কমবয়সীদের হাতে বাইক, রাতের অন্ধকারে রেষারেষি! উৎসবের আনন্দে পথ দুর্ঘটনায় আহত ৮, মৃত ১

Last Updated:

বাইক নিয়ে রেষারেষি উৎসবের আনন্দকে মাটি করে দিল মুহূর্তে

ক্ষতিগ্রস্ত বাইক উদ্ধারে ব্যস্ত স্থানীয়রাNorth 24 Parganas News: কমবয়সীদের হাতে বাইক, রাতের অন্ধকারে রেষারেষি! উৎসবের আনন্দে পথ দুর্ঘটনায় আহত ৮, মৃত ১
ক্ষতিগ্রস্ত বাইক উদ্ধারে ব্যস্ত স্থানীয়রা

উত্তর ২৪ পরগনা: উৎসবের রাতে হাড়োয়ায় দুটি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় আহত আট, মৃত এক।  উৎসবে মাতোয়ারা ছিল গোটা হাড়োয়া। কিন্তু সেই খুশির রাতে দুটি মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মুহূর্তে বদলে গেল চিত্র। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহাকুমার হাড়োয়া থানার অন্তর্গত আটঘরা এবং কুলটি এলাকায় রাতের দুর্ঘটনায় আহত হলেন মোট আটজন, প্রাণ হারালেন এক যুবক।

সন্ধ্যার পরে রাত প্রায় আটটা নাগাদ হাড়োয়ার আটঘরা বটতলা এলাকায় ঘটে প্রথম দুর্ঘটনাটি। মাদারতলা রোড ধরে দু’টি বাইক বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, একপ্রকার রেষারেষিতেই মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে দুই বাইকের মধ্যে। দুই বাইকে থাকা মোট চারজন যুবক গুরুতরভাবে জখম হন। স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যান হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকেরা একজন যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি তিনজন এখনও চিকিৎসাধীন, তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।

এর কিছুক্ষণের মধ্যেই, রাতেই দ্বিতীয় দুর্ঘটনা ঘটে কুলটি ভাসাপাড়া এলাকায়। সেখানেও দুটি বাইকের মুখোমুখি ধাক্কায় আহত হন চার যুবক। প্রত্যেকেই স্থানীয় বাসিন্দা ও কমবয়সী। এলাকাবাসীর তৎপরতায় তাঁদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সবার আঘাত গুরুতর। উভয় ক্ষেত্রেই বাইক আরোহীদের মাথায় ছিল না হেলমেট। এবিষয়ে প্রশাসনের তরফে দীর্ঘদিন ধরেই চালানো হচ্ছে সচেতনতামূলক প্রচার। রাস্তার মোড়ে মোড়ে লাগানো হয়েছে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ-এর পোস্টার ও ব্যানার। পুলিশি তল্লাশি ও নজরদারিও চালানো হয়। তা সত্ত্বেও কেন এই বেপরোয়া বাইক চালানো ও হেলমেটহীনতা-তা নিয়ে প্রশাসনের চিন্তা বাড়িয়েছে। ঘটনার পর এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। স্থানীয়রা বলেন, “প্রতিবারই উৎসবের দিনে এমন কিছু না কিছু ঘটে। ছোট ছোট ছেলেরা বেপরোয়া ভাবে বাইক চালায়। হেলমেট পরে না। কিছু বললেও শোনে না।”

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

এমন মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে আরও কড়া নজরদারি ও সচেতনতা অভিযান জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। দুটি ঘটনাতেই তদন্ত শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় বাইক চালকেরা কি অবস্থায় ছিল, লাইসেন্স ও কাগজপত্র ছিল কি না, সেই বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। আনন্দের দিনে এভাবে অকাল মৃত্যু আর প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা শুধুই ব্যক্তি বা পরিবারের নয়, গোটা সমাজের জন্যই সতর্কবার্তা। তরুণ প্রজন্মকে আরও সচেতন করার পাশাপাশি প্রশাসনিক তৎপরতাও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

জুলফিকার মোল্যা

Scroll to Top