Nadia News: ৩ টন বাতাসার হরিলুট! চৈত্রের শীতলা অষ্টমীতে বটবৃক্ষ ঘিরে বিশাল আয়োজন নদিয়ায়

Nadia News: ৩ টন বাতাসার হরিলুট! চৈত্রের শীতলা অষ্টমীতে বটবৃক্ষ ঘিরে বিশাল আয়োজন নদিয়ায়

Last Updated:

চাঁদ সওদাগরের করা শীতলা পুজো আজও হয়ে আসছে নদিয়ার এই জায়গায়

X

Nadia News: ৩ টন বাতাসার হরিলুট! চৈত্রের শীতলা অষ্টমীতে বটবৃক্ষ ঘিরে বিশাল আয়োজন নদিয়ায়

শীতলা মায়ের পুজো

নদিয়া: রানাঘাট হবিবপুর পুরাতন বাজারের প্রাচীন ও ঐতিহ্য জাগ্রত শীতলা মায়ের পুজো আনুমানিক ৪০০ বছরের প্রাচীন, তাকে ঘিরে ১০ দিন ধরে উৎসব মেলা অনুষ্ঠান চলে হবিবপুর পুরাতন বাজারে। এখানকার শীতলা মা শুধুমাত্র একটি বট বৃক্ষে পূজিত হয়ে আসছে ৪০০ বছর ধরে। শুধুমাত্র একটি বট গাছকে ঘিরে মানুষের বিশ্বাস, ভরসা, কৌতুহল ও বিভিন্ন মতবাদ। এই বট বৃক্ষটি শীতলা দেবী হিসেবে পূজিত হচ্ছে। কথায় আছে, বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। এখানে কোনও মূর্তি হিসেবে পূজিত হয়না, শুধুমাত্র বট গাছটি শীতলা দেবী হিসেবে পূজিত হয়ে আসছে ৪০০ বছর ধরে।

কথিত আছে, গঙ্গা নদী প্রবাহিত ছিল এই বট বৃক্ষের পাশ দিয়ে। কোনও এক সময় চাঁদ সদাগর বাণিজ্য করতে গিয়ে এই স্থানে বটবৃক্ষ নিজে পুজো দিয়েছিলেন। প্রথমে এক অবাঙালি ব্রাহ্মণ পুজো করলেও বর্তমানে হবিবপুরের বিখ্যাত ভট্টাচার্য বাড়ির জ্যেষ্ঠ পুরুষেরা বংশানুক্রমিক এই পূজার দায় ভার পায়। কথিত আছে, মায়ের স্বপ্নাদেশে একমাত্র বিন্দু ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যরা মায়ের পূজার পুরৌহিত্য বা পুজোর দায় ভার পায়। আর তাঁর অবর্তমানে তাঁর সন্তানেরা এই পূজা পৌরহিত্য করছেন।

আরও পড়ুন: আরও সহজে মিলবে চিকিৎসা পরিষেবা! নদিয়ার এই এলাকায় এবার খুশির হাওয়া

চৈত্র মাসের শীতলা অষ্টমী তিথিতে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষের সমাগম হয় এই পুণ্যভূমিতে। তারপর ব্রাহ্ম মুহূর্ত সময়কালে ভট্টাচার্জি বাড়ির বর্তমান পুরোহিত গদাই ভট্টাচার্য সুন্দর চন্ডী পাঠ দ্বারা দেবী শক্তির গুণগান করেন। লোকমূখে শোনা যায়, এক সময় বট বৃক্ষের সামনে দিয়ে ভাগীরথী গঙ্গা নদী প্রবাহিত ছিল। এখন গঙ্গা সাত কিলোমিটার দূরে তারাপুরে অবস্থান করছে। দেবী ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন এবং অনেকের মনোবাঞ্ছা পূরণ হলে তাদের ওজনে বাতাসা ছিটান ভক্তরা ছয় দিনের হরিনাম সংকীর্তনে তিন টনের অধিক পরিমাণে বাতাসা ছড়ানো হয় ভক্তদের মাঝে।

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

দুপুরে পুরোহিত দ্বারা মহানন্দে মায়ের ভোগ আরতি করে বিকাল বেলা থেকে ভোগ প্রসাদ বিতরণ শুরু হয়। তারপর মহোৎসব হাজার ভক্তদের মধ্যে খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ চলে। এইভাবে ১০ দিনের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

মৈনাক দেবনাথ

Next Article

Purulia News : চিকিৎসা ক্ষেত্রে যে কোনও সাংগঠনিক সমস্যার সমাধান মিলবে এক ছাতার তলায় , অভিনব উদ্যোগ সরকারের!

Scroll to Top