Last Updated:
Monsoon Tourism: শুধু তা-ই নয়, চারিদিকে যেন লাগে মিষ্টি শীতল হাওয়ার ঝাপটা। আর তাই পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই নাগৌর। এখানে ভ্রমণের জন্য রয়েছে ঐতিহাসিক, ধর্মীয় এবং প্রাকৃতিক স্থানও।

নগৌর : বর্ষার মরশুমে অনেকেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকেন। আর এই সময় ভ্রমণের জন্য আদর্শ হতে পারে রাজস্থানের নগৌর। কারণ বৃষ্টির জল পড়লেই এখানে ছড়িয়ে পড়ে সবুজের মায়া। শুধু তা-ই নয়, চারিদিকে যেন লাগে মিষ্টি শীতল হাওয়ার ঝাপটা। আর তাই পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই নগৌর। এখানে ভ্রমণের জন্য রয়েছে ঐতিহাসিক, ধর্মীয় এবং প্রাকৃতিক স্থানও। ফলে ইতিহাসের অধ্যায়ের সাক্ষী থাকার পাশাপাশি এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতে পারেন পর্যটকরা।
নগৌর জেলার পর্বতসরে অবস্থিত ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ববিশিষ্ট দুর্গ হল- রোহিন্দি দুর্গ। যা রাজস্থানের গৌরবময় ঐতিহ্যের পরিচায়ক। এই দুর্গটি আরাবল্লী পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত। এর স্থাপত্য জুড়ে ফুটে উঠেছে রাজপুত রীতি। তবে বর্ষার দিনে এখানকার পরিবেশ ছবির মতো সুন্দর হয়ে ওঠে। দুর্গটি থেকে আশপাশের গ্রামের সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়।
এখানেই শেষ নয়, নগৌরের বুলন্দ দরওয়াজা আবার ঐতিহাসিক ও স্থাপত্য শিল্পেরও এক অনন্য উদাহরণ। এই দরজাটি নগৌর দুর্গের প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি মুঘল আমলে নির্মিত হয়েছিল। বেলেপাথর এবং চুন দিয়ে তৈরি এই দরজায় মুঘল স্থাপত্যের ছাপ স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়।
এর পাশাপাশি রয়েছে নগৌর দুর্গ। যা অহিচ্ছত্রগড় দুর্গ নামেও পরিচিত। এই দুর্গটিও প্রাচীন ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্য বহন করছে। এই দুর্গটি দ্বাদশ শতাব্দীতে চৌহান রাজবংশের শাসকদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। বর্ষাকালে এখানকার আবহাওয়া মনোরম থাকে এবং দুর্গের প্রাচীরে সবুজের সমারোহ থাকে দেখার মতো। দুর্গের ভিতরে বেশ কিছু প্রাসাদ, মন্দির এবং জাদুঘর রয়েছে, যা রাজপুত শাসনের গৌরবময় গাথা বর্ণনা করে। এখান থেকে নাগৌর শহরের মনোরম দৃশ্যও চাক্ষুষ করতে পারবেন পর্যটকরা।
আবার নগৌর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কুচামন শহর। আর এখানেই রয়েছে বিখ্যাত কুচামন দুর্গ। বর্ষাকালে এখানকার পরিবেশ মনোরম থাকে এবং দুর্গের চারপাশের হ্রদগুলিও জলে টইটম্বুর থাকে। এই দুর্গটিকেও বর্তমানে একটি ঐতিহ্যবাহী হোটেলে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ফলে এখানে পর্যটকরা রাজস্থানি সংস্কৃতিও উপভোগ করতে পারবেন।
এছাড়া নগৌর জেলার একটি ছোট্ট শহর হল মের্তা। এখানকার ঐতিহাসিক গুরুত্বও অপরিসীম। এখানকার মালকোট দুর্গটি দেখার মতো। বর্ষার মরশুমে এখানকার আবহাওয়া মনোরম থাকে। আর আশপাশের গ্রামাঞ্চলের সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য মনকে প্রশান্তি দেয়।
Kolkata,West Bengal
June 24, 2025 8:56 PM IST
Monsoon Tourism: জলে টইটম্বুর হ্রদের সঙ্গে আরাবল্লীর নীচে ঐতিহাসিক দুর্গ! মনের মানুষের বাহুডোরে রিমঝিম বৃষ্টিতে ভিজতে বর্ষায় আসুন রাজপুতানায়