Last Updated:
যাঁকে নিয়ে এই ঝামেলার সূত্রপাত, সেই সোহনলাল দাবি করে, বিয়ে করতে আগাগোড়াই তিনি রাজি ছিলেন৷
অমেঠি: বিয়ের সবকিছু ঠিক, কিন্তু দেখা নেই বরের৷ শেষ পর্যন্ত বর যখন বিয়ে করতে পৌঁছলেন, তখন বেঁকে বসল পাত্রীপক্ষ৷ পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছল যে বরকে কার্যত পণবন্দি করে রাখল কনের বাড়ির লোক৷ উত্তর প্রদেশের অমেঠির একটি বিয়েকে কেন্দ্র করে এমনই কাণ্ড ঘটেছে৷ শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসেও বিষয়টি মিটমাট করতে হিমশিম খায়৷
কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতির তৈরি হল? এনডিটিভি-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তর প্রদেশের অযোধ্যার বাসিন্দা সোহনলাল যাদবের সঙ্গে অমেঠির বাসিন্দা এক তরুণীর বিয়ে ঠিক হয়৷ আচমকাই বিয়ের কয়েক দিন আগে থেকে পাত্র নিখোঁজ হয়ে যায়৷ সোহনলাল নামে ওই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে তাঁর পরিবারই বিয়ের ঠিক আগে পুলিশে অভিযোগ জানায়৷ যদিও এসবের কিছুই তাঁরা কনের বাড়িকে জানায়নি৷
আরও পড়ুন: ফের সঞ্জয়কে আনা হল আদালতে, একে একে চিনিয়ে দিলেন চার সাক্ষী! কারা তাঁরা?
শেষ পর্যন্ত বিয়ের দিন পুলিশ সোহনলালকে খুঁজে বের করে৷ ওদিকে ততক্ষণে জাঁকজমক করে বিয়ের আয়োজন করে ফেলেছে পাত্রীপক্ষ৷ বিয়েতে নিমন্ত্রিতরা এসে খেতে বসে গেলেও বর বা বরযাত্রী কেউই এসে পৌঁছয়নি৷ তখনই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন কনের বাড়ির লোকজন৷ সোহনলালের পরিবারের সঙ্গেও ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তাঁরা৷ এ সবের মধ্যেই অযোধ্যার থানা থেকে পাত্রীপক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়৷ মেয়ের বাড়ির লোক থানায় পৌঁছে দেখে সেখানে পাত্র বসে আছে!
পুলিশ এবং পারিপার্শ্বিক চাপে বিয়েতে রাজি হন সোহনলাল৷ রাত আড়াইটের সময় বিয়ে করতে মেয়ের বাড়িতে পৌঁছন তিনি৷ কিন্তু পাত্রের কীর্তি দেখে ততক্ষণে মত বদলে ফেলেছে কনে পক্ষ৷ যদিও তার কোনও আভাস পাত্রপক্ষকে দেয়নি৷ সোহনলাল বিয়ে করতে পৌঁছনোর পর তাঁকে আদর যত্ন করে খাওয়ানো হয়৷ তার পরেই পাত্রীপক্ষ জানিয়ে দেয়, এই বিয়েতে আর রাজি নয় তাঁরা৷ এখানেই শেষ নয়, বরকে আটকে রেখে পাত্রীপক্ষ জানিয়ে দেয়, বিয়ের আয়োজনে যত টাকা খরচ হয়েছে তা মিটিয়ে দিলেই পাত্রকে ছাড়া হবে!
যদিও যাঁকে নিয়ে এই ঝামেলার সূত্রপাত, সেই সোহনলাল দাবি করে, বিয়ে করতে আগাগোড়াই তিনি রাজি ছিলেন৷ লখনউতে গিয়ে তাঁর ফোন খারাপ হয়ে যাওয়ায় বাড়ির লোকের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করতে পারেননি৷ ফোন ঠিক হওয়ার পরই পুলিশের ফোন পেয়ে থানায় আসেন তিনি৷
পাত্রের এই দাবি মানতে নারাজ পাত্রীপক্ষ৷ কনের বাবার দাবি, প্রথমে পাত্র একটি গাড়ি দাবি করে৷ তার পর গাড়ির বদলে নগদ দাবি করে সে৷ তাতেও রাজি হয়েছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু তার পরেও বিয়ের আগে বেঁকে বসে পাত্র৷ মেয়ের বাবার আরও অভিযোগ, ওই যুবকের সঙ্গে অন্য এক মহিলার সম্পর্ক রয়েছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন৷ তাই সোহনলালের সঙ্গে আর মেয়ের বিয়ে দিতে নারাজ তাঁরা৷ আগে থেকে বলে দিলে বিপুল খরচ করে তাঁরা বিয়ের আয়োজনও করতেন না৷ তাই এখন সেই খরচ না মেটালে পাত্রকে ছাড়বেন না তাঁরা৷
দু পক্ষের বিবাদ মেটাতে পুলিশ পৌঁছে পাত্রী পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করে৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশের অনুরোধেও পাত্রকে ছাড়া হয়নি৷
Kolkata,West Bengal
December 04, 2024 1:59 AM IST