Malda News: রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা হাতানোর চেষ্টা! ভয়ঙ্কর অভিযোগ এই জেলায়

Malda News: রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা হাতানোর চেষ্টা! ভয়ঙ্কর অভিযোগ এই জেলায়

Last Updated:

Malda News: মালদহে রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদনকারীর বাড়িতে তদন্তে গিয়ে চোখ কপালে উঠল প্রশাসনিক কর্তাদের। মালদহে হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লক এলাকায় তদন্তে নেমে রূপশ্রী প্রকল্পের একাধিক ভুয়ো আবেদন ধরলেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা।

রূপশ্রী প্রকল্পে কারচুপির অভিযোগMalda News: রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা হাতানোর চেষ্টা! ভয়ঙ্কর অভিযোগ এই জেলায়
রূপশ্রী প্রকল্পে কারচুপির অভিযোগ

মালদহ: রূপশ্রীর টাকা হাতানোর প্রচেষ্টা। মালদহে রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদনকারীর বাড়িতে তদন্তে গিয়ে চোখ কপালে উঠল প্রশাসনিক কর্তাদের। রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন সন্তানের মায়েরাও। তদন্তে নেমে এমনই একাধিক ভুয়ো আবেদন ধরলেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। জানা গিয়েছে, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকের দৌলতপুর, ইসলামপুর, ভালুকা অঞ্চল সহ একাধিক অঞ্চলে রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদনগুলো খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে যান ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।

সেখানে তদন্তে গিয়ে তারা দেখতে পান রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পাচ্ছে বিবাহিতরাও, এমনকি এক বা একাধিক সন্তানের জননীরাও। ঠিক সেই সময় হাতেনাতে ধরে ফেললেন প্রশাসনের কর্তারা। এরপর বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন আধিকারিকরা। পর পর প্রায় তিনটি বাড়িতে গিয়ে ভুয়ো আবেদন ধরে ফেলেন আধিকারিকরা। কারও এক বছর আবার কারও দুই বছর আগে বিয়ে হয়েছে।

হরিশ্চন্দ্রপুর দু’নম্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও সোনাম ওয়াংদী লামা জানান, “হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকের বেশ কয়েকটি অঞ্চল থেকে আসা রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদনগুলি বাড়ি বাড়ি গিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভালুকা অঞ্চলের জগন্নাথপুর গ্রামে দুজন এবং হাতি ছাপা গ্রামে একজন ভুয়ো আবেদনকারীকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। তদন্তে জানা গেছে, তারা ইতিমধ্যেই বিবাহিত, এমনকি এক বা একাধিক সন্তানের জননীরাও আবেদন করেছেন। অবিলম্বে তাদের তিনজনের আবেদনপত্র খারিজ করা হবে এবং ব্লক প্রশাসনকে এ বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়া হবে। পাশাপাশি তদন্ত শুরু হবে।”

যদিও অভিযুক্তদের পরিবারের দাবি, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তারা আবেদন করেছিলেন তবে কীভাবে এমনটা হল তারা বুঝতে পারছে না। তাদের মেয়ে শ্বশুরবাড়ি এলাকা থেকে আবেদন করেছিল। ভুয়ো বিষয় সংক্রান্ত তারা কিছু জানেন না বলে দাবি আবেদনকারীর পরিবারের। এদিকে এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে সরকারি প্রকল্পের টাকা সঠিক পথে পরিচালনা নিয়ে। ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীরাও।

জিএম মোমিন।

Scroll to Top