কলকাতা: সময় বদলেছে। বদলেছে রীতি নীতি, আদব কায়দাও। টাইম মেশিনে চড়ে বাঙালির ধন-দেবী পাড়ি জমিয়েছেন খোদ গণপতির খাস তালুকে। আরব সাগরের তীরে মহারাষ্ট্রে দুর্গা বা কালী পূজার চল আগেও ছিল। কিন্তু তা বলে একেবারে ধনদেবী লক্ষ্মীর আরাধনা! এবার তাতেও হাত পাকিয়েছে বাণিজ্য নগরী মুম্বই (Lakshmi Puja in Mumbai)। থানে, জুহু, বোরিভালি! কোথায় নেই!
শেষ কয়েক বছরে প্রবাসী বাঙালিদের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে মহারাষ্ট্রে। আর সেই সূত্র ধরেই আরব সাগরের তীরে শুরু হয়েছে মা লক্ষ্মীর আরাধনা। থানের বিজয়নগরের মিরা রোড (ইস্ট)। মারাঠিদের পাশাপাশি বাঙ্গালিদের সংখ্যা নেহাত কম নয় এখানে।
কোভিড পরবর্তী পর্যায়ে এই বছরেই মিরা রোডে শুরু হয়েছে ধন দেবীর আরাধনা। আর সেই পুজোর পৃষ্ঠপোষক আবার প্রয়াত অভিনেতা কেষ্ট মুখোপাধ্যায়ের একমাত্র পুত্র বাবলু মুখোপাধ্যায়। স্থানীয় বাঙ্গালীদের নিয়ে শোলে, জঞ্জির, আপ কি কসমের মত সিনেমায় অভিনয়ে মাত করা প্রয়াত অভিনেতা কেষ্ট মুখোপাধ্যায়ের একমাত্র পুত্র বাবলু মুখোপাধ্যায় তৈরি করেছেন কেষ্ট মুখার্জী ফাউন্ডেশন।
কেষ্ট মুখার্জী ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে আনন্দধারা সোশাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই বছরেই শুরু হয়েছে দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো। প্রথম বছরেই আরব সাগরের তীরে বাঙালি মহল্লায় রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে এই পুজো। নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে মাঠ ভাড়া করে পুজো সেলিব্রেশন মুম্বইয়া বাঙ্গালীদের।
বাবলু মুখোপাধ্যায় বলছিলেন, ‘‘বাবার জন্ম কলকাতায়। মুম্বইতে দীর্ঘদিন থেকেও জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বাঙালিয়ানাকে ভুলতে পারেননি বাবা। পুজোর দিনগুলোতে একসঙ্গে সবাই মিলে আনন্দ, উৎসবের মাঝে সেই বাঙালিয়ানাটাই যেন ঘুরে ফিরে সেলিব্রেট করা।’’
পুজোর দিনগুলো একসঙ্গে পাত পেড়ে খাওয়া কিংবা সকাল-সন্ধ্যায় শামিয়ানার তলায় বসে সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেওয়া বা পুজোর রীতি মেনে আচার-আচরণ পালন করা। সবেতেই যেন আরব সাগরের তীরে পুজোর মোড়কে এক টুকরো বাংলা ফিরিয়ে আনেন পূজা চট্টোপাধ্যায়, রজত সাহারা।
PARADIP GHOSH