Kasba Incident: মুখে মিষ্টি, আড়ালে মনোজিতের শয়তানের চোখ পড়ত জুনিয়রদের দিকে

মুখে মিষ্টি, ভেতরে শয়তান। এমনই ভাবমূর্তি তৈরি হয়ে রয়েছে কসবার ল কলেজের গণধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের। ২০২৪ সাল থেকে কলেজে নিজের আধিপত্য বিস্তার করে মনোজিৎ। কলেজের ভিতর জুনিয়রদের ভাই-বোন বলে সম্বোধন করত। কিন্তু সেই সম্বোধন বদলে যেত আড়ালে৷ আপত্তিকর ও অশালীন প্রস্তাব দিত জুনিয়র মেয়েদের।

একবার একটি পিকনিকের আয়োজন করেছিল মনোজিৎ-এর ইউনিয়ন। সেখানে গিয়েছিল কলেজের সকল স্টুডেন্ট। আগে থেকেই জুনিয়র অ্যালার্ট করেছিল সিনিয়ররা। জানান হয়েছিল যেখানে কলেজ পিকনিকে মদ্যপান চলছে সেখানে যেন জুনিয়ররা মূলত মেয়েরা না যায়। তবুও একটি মেয়ে না জেনেই সেখানে গেলে তিনি মনোজিৎ-এর কবলে পড়েন।

‘আমার গার্লফ্রেন্ড আছে তবুও তোমাকে ভাল লাগে, আমাকে বিয়ে করবে?’ মদ পান করতে করতে মাতাল মনোজিৎ এই কথা বলেছিল তার এক জুনিয়রকে। আপত্তি সত্বেও মেয়েটিকে স্পর্শ করতে থাকে মনোজিৎ। পরে মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে সিনিয়রদের জানালে সিনিয়ররা প্রতিবাদ করে৷ তখনই মনোজিৎ বলে ‘দেখবি মেয়েটি আমার দলে চলে আসবে’!

শুধু একজনকে নয়। এইরকম প্রস্তাব সে আগেও বহু জুনিয়রকে দিয়েছে। কলেজে মারামারি, ঝগড়াঝাঁটির পরিবেশ তৈরি করত মনোজিৎ। বিভিন্ন পদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে জুনিয়র মেয়েদের টোপ দিত মনোজিৎ মিশ্র। কেউ সেই টোপ গিলত কেউ আবার ভয়ে কলেজ আসা বন্ধ করে দিত। এমনই একটি অভিযোগ শোনা গেল কসবার কলেজের ভিতরে।

ভাগমী ত্রিবেদী দ্বিতীয় বর্ষের স্টুডেন্ট। এমনই কথা জানালেন নিউজ 18 বাংলাকে। শুধু তাই নয় মনোজিৎ নিজের পেশি বলে কলেজে স্বঘোষিত নেতা হয়ে বসেছিল। মনোজিৎ বলেছিল কলেজের নিরাপত্তা থেকে পঠনপাঠন সব কিছুর সুন্দর ব্যবস্থা করে দেবে সে। তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি। উল্টে মনোজিৎ-এর ভাল মুখের আড়ালে লুকিয়ে থেকেছে একাধিক জুনিয়রের অন্ধকার ভবিষ্যৎ। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কোনওভাবেই মনোজিৎকে থামান যেত না। কীসের মন্ত্র বলে? উত্তর অধরা!