Jhargram News: পোস্ট অফিসে টাকা জমিয়েও নেই শান্তি! ম্যাচুরিটির পরে মাথায় হাত বৃদ্ধের, তারপর যা হল…

Jhargram News: পোস্ট অফিসে টাকা জমিয়েও নেই শান্তি! ম্যাচুরিটির পরে মাথায় হাত বৃদ্ধের, তারপর যা হল…

Last Updated:

Jhargram News: ২০ বছর আগে পোস্ট অফিসে কিষাণ বিকাশ পত্রের স্কিমে ফিক্সড ডিপোজিট করেছিলেন এক ব্যক্তি। ম্যাচুরিটির কয়েক বছর পরেও টাকা দিচ্ছিল না পোস্ট অফিস।

জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে দাঁড়িয়ে উপভোক্তাJhargram News: পোস্ট অফিসে টাকা জমিয়েও নেই শান্তি! ম্যাচুরিটির পরে মাথায় হাত বৃদ্ধের, তারপর যা হল…
জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে দাঁড়িয়ে উপভোক্তা

ঝাড়গ্রাম: বার্ধক্য বয়সের কথা মাথায় রেখে ২০০৫ সালে পোস্ট অফিসে কিষাণ বিকাশ পত্রের যোজনায় টাকা সঞ্চয় করেছিলেন এক চাষি। পোস্ট অফিসে কিষাণ বিকাশ পত্রের ম্যাচুরিটির পরেও টাকা পাচ্ছিলেন না উপভোক্তা। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পোস্ট অফিসে গিয়ে নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে হত বাড়ি। অবশেষে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে অভিযোগের দু’মাসের মধ্যেই উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে সুদ-সহ মোটা অঙ্কের টাকা পাঠিয়ে দিল পোস্ট অফিস।

আরও পড়ুন: বাসকে ধাক্কা বেপরোয়া ট্রাকের! মৃত্যুমিছিল! নিশ্চিহ্ন অর্ধেক বাস, বাইরে উড়ে এল দেহাংশ

ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর ২ নং ব্লকের রান্টুয়া গ্রামের বাসিন্দা সলিল কুমার পৈড়া। তিনি তপসিয়া পোস্ট অফিসে ২০০৫ সালের ২৫ জুন ১০ হাজার টাকার একটি কৃষাণ বিকাশ পত্র ক্রয় করেন। ম্যাচুরিটির সময় পেরিয়ে গেলেও পোস্ট অফিস থেকে টাকা হাতে পাননি বলে অভিযোগ সলিলের। একাধিকবার তিনি তপসিয়া পোস্ট অফিসে গেলে তাঁকে নানা বাহানায় ঘুরিয়ে দেওয়া হতো। এমনকি ঝাড়গ্রাম হেড পোস্ট অফিসে কাগজপত্র গিয়েছে বলে জানানো হতো।

আরও পড়ুন: ভারতই বাঁচাতে পারে বাংলাদেশকে! ২৬৫ কোটি টাকা দাম, এবার ইউনূস সরকার ভারত থেকে যা কিনছে…

শেষমেশ ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন সলিল কুমার পৈড়া। অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারক একটি প্রি-লিটিগেশন মামলা রুজু করেন। তারপর তপসিয়া পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষ এবং সলিল কুমার পৈড়াকে নোটিশ দিয়ে আদালতে শুনানির জন্য ডেকে পাঠানো হয়। প্রথমবার শুনানির পর টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার আদালতে এসে সলিল কুমার পৈড়া জানান, তিনি তাঁর প্রাপ্য টাকা সুদসহ মোট ২৮ হাজার ৮৭০ টাকা হাতে পেয়েছেন। তারপর মামলাটির নিষ্পত্তি করেন বিচারক।

ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকার বলেন, “পোস্ট অফিসের কৃষাণ বিকাশ পত্রের স্কিমে ফিক্সড ডিপোজিট করা টাকা ম্যাচুরিটি হওয়ার পরেও দীর্ঘদিন ধরে পাচ্ছিলেন না এক ব্যক্তি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ জানালে একটি প্রিলিটিগেশনের মামলার রুজু করা হয় এবং পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টারকে নোটিশ করে ডেকে পাঠানো হয়। প্রথম হিয়ারিংয়ের পরেই উনার অ্যাকাউন্টে পোস্ট অফিস ম্যাচুরিটির সম্পূর্ণ টাকা পাঠিয়ে দেয়। উনার দীর্ঘদিনের সমস্যা মাত্র দু’মাসের মধ্যে আমরা সমাধান করতে পেরে অত্যন্ত খুশি”।

Next Article

Travel: অবহেলায় পড়ে রয়েছেন বাংলা, বিহার, ওড়িশার নবাব! তাঁর সমাধীতে আর আসে না পর্যটক! কেন জানেন?

Scroll to Top