Jammu and Kashmir Terrorist Attack: ‘তুই বাইরে আয়’…তাঁবু থেকে বেরতেই এফোঁড় ওফোঁড় ৩ গুলিতে! কাশ্মীরে জঙ্গিদের বুলেটে স্ত্রী, তরুণী মেয়ের সামনেই নিহত ব্যবসায়ী

সংবাদমাধ্যমকে তরুণী আশাবরী জানিয়েছেন স্থানীয়দের মতো পোশাক পরা কয়েকজন যুবক নেমে আসে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে। তার পরই চারপাশে কিছু একটা বিপজ্জনক ঘটছে আঁচ করে তাঁবুতে ঢুকে পড়েন সন্তোষ, তাঁর স্ত্রী প্রগতি এবং মেয়ে আশাবরী। তাঁদের সঙ্গে তাঁবুতে আশ্রয় নেন আরও কয়েক জন পর্যটক। তাঁবুতে বসেই তাঁর বাইরে গুলিগোলা বর্ষণের শব্দ শুনতে পান। ক্রমশ সেই শব্দ তাঁদের কাছে এগিয়ে আসে।

এর পরই তাঁবুর বাইরে শোনা যায় হুমকি। জঙ্গিরা কর্কশ গলায় বলে ওঠে,‘চৌধুরি, তুই বাইরে বেরিয়ে আয়।’ এর পর তাঁবু থেকে টেনে বার করা হয় সন্তোষকে। আশাবরী এবং তাঁর মায়ের সামনেই গুলি করা হয় সন্তোষকে। মোট তিন বার। একবার কপালে, একটা কানের পিছনে এবং তৃতীয়টা পিঠে। সেখানেই লুটিয়ে পড়ে তাঁর নিথর নিস্পন্দ দেহ। এর পর সন্তোষের ভাইকেও গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা।

প্রায় কুড়ি মিনিট পর ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ এবং নিরাপত্তাকর্মীরা। তাঁরা হামলার জায়গা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যান আশাবরী ও তাঁর মা প্রগতিকে। তাঁরা তখনও জানেন না বাবা এবং কাকা দু’জনেই তখন প্রাণহীন। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহত ২৬ জনের মধ্যে সন্তাষ জাগদালে-সহ মহারাষ্ট্রের ছ’জন পর্যটক আছেন। বাকি পাঁচজন হলেন ঠানের বাসিন্দা অতুল মানে, সঞ্জয় লেলে এবং হেমন্ত যোশী। এছাড়াও আছেন পুনের কৌস্তুভ গানবোতে এবং নবি মুম্বাইয়ের দিলীপ দোসলে।

আরও পড়ুন : ‘যত ক্ষণ না লুটিয়ে পড়ে জঙ্গিরা গুলিবৃষ্টি করে যায়’, কাশ্মীরে স্ত্রী সন্তানের সামনে জঙ্গিহানায় প্রাণ হারালেন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী

২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে ভয়াবহ এই হামলায় ২৬ জন নিহতের মধ্যে দু’জন বিদেশি নাগরিক এবং দু’জন স্থানীয় বাসিন্দাও আছেন। নিষিদ্ধ পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি)-র ছায়া গোষ্ঠী রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।