ISRO: মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার প্রথম ধাপ! ইসরো থেকে বিশেষ আমন্ত্রণ পূর্ব বর্ধমানের দুই স্কুলপড়ুয়াকে

ISRO: মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার প্রথম ধাপ! ইসরো থেকে বিশেষ আমন্ত্রণ পূর্ব বর্ধমানের দুই স্কুলপড়ুয়াকে

Last Updated:

East Bardhaman News:কঠিন অনলাইন পরীক্ষা এবং বাছাই পর্বের পর প্রকাশিত ফলাফলে উঠে এসেছে কুশারী ও সপ্তকের নাম। ওরা যোগ দেবে ইসরোর প্রশিক্ষণ শিবিরে।

বর্ধমানের পড়ুয়া ISRO: মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার প্রথম ধাপ! ইসরো থেকে বিশেষ আমন্ত্রণ পূর্ব বর্ধমানের দুই স্কুলপড়ুয়াকে
বর্ধমানের পড়ুয়া 

বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: এক গর্বের মুহূর্ত এনে দিল পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ক্রিস্টাল মডেল স্কুল। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) আয়োজিত ‘ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রাম’-এ অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে এই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির দুই ছাত্রছাত্রী কুশারী চক্রবর্তী ও সপ্তক ঘোষ। আগামী ১৮ মে তারা রওনা দেবে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের উদ্দেশে। সেখানেই ৩১ মে পর্যন্ত চলবে মহাকাশ বিজ্ঞানভিত্তিক বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির। শুধু পূর্ব বর্ধমান নয়, এই অর্জন গোটা রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করেছে।

ছাত্রী কুশারী চক্রবর্তীর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি শহরে। আর ছাত্র সপ্তক ঘোষের বাড়ি হুগলির বৈচিতে। দু’জনেই মেমারির ক্রিস্টাল মডেল স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়া। প্রতিযোগিতার প্রেক্ষাপট ছিল অত্যন্ত কঠিন। সারা দেশ থেকে প্রায় ২ লক্ষ ছাত্রছাত্রী এই শিবিরে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিল। সেই বিপুল সংখ্যার মধ্য থেকে মাত্র ০.১৭৫ শতাংশ পড়ুয়া সুযোগ পেয়েছে প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগদানের।কঠিন অনলাইন পরীক্ষা এবং বাছাই পর্বের পর প্রকাশিত ফলাফলে উঠে এসেছে কুশারী ও সপ্তকের নাম। ছাত্রছাত্রীদের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকরা।

কুশারী ও সপ্তকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোটবেলা থেকেই মহাকাশ ও বিজ্ঞানের প্রতি গভীর আগ্রহ রয়েছে তাদের। ভবিষ্যতে তারা একজন সফল বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। সেই স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবসময় পাশে থেকেছেন শিক্ষক এবং পরিবার। বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল শ্রী অরুণকান্তি নন্দী বলেন, “আমরা সবসময় চেষ্টা করি পড়ুয়াদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রতিভা খুঁজে বার করে তাকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে। এর আগেও আমাদের স্কুল থেকে একজন ইসরোর শিবিরে অংশ নিয়েছিল, তবে এ বার একসঙ্গে দু’জন পড়ুয়ার সুযোগ পাওয়ায় গর্বের মাত্রাটা আরও বেড়ে গেল।”

আরও পড়ুন : খাদের ধারের রেলিং থেকে পাকদন্ডী…ঘুম, সোনাদা, টুং পেরিয়ে এই শৈলশহর জেগে থাকে ঘোড়ার খুরের নালের শব্দে

এই সাফল্যের খবরে মেমারি শহরজুড়ে এবং বিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে খুশির হাওয়া। শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে সহপাঠী—সবাই শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন কুশারী ও সপ্তককে। এ যেন কিশোর মন থেকে মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার এক প্রথম ধাপ!

Next Article

Free Training : জীবন তাঁর স্বপ্নকে মেলতে দেয়নি, এখন খুদেদের তৈরি করছেন নতুন ওড়ার জন্য, দেন ফ্রি তে ট্রেনিং

Scroll to Top