Last Updated:
টানা তিন ম্যাচ হারের পর জয়ের পথে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। ঘরের মাঠে কেরালাকে ২-১ গোলে হারাল লাল-হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের শুরুতেই বিষ্ণু ও হিজাজির গোলে এগিয়ে যায় অস্কার ব্রুজোর দল।
কলকাতা:
টানা তিন ম্যাচ হারের পর জয়ের পথে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। ঘরের মাঠে কেরালাকে ২-১ গোলে হারাল লাল-হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের শুরুতেই বিষ্ণু ও হিজাজির গোলে এগিয়ে যায় অস্কার ব্রুজোর দল। কেরালার হয়ে একটি গোল শোধ করেন দানিশ ফারুক। অবশ্য ইস্টবেঙ্গলের স্ট্রাইকাররা এই ম্যাচেও অসংখ্য সুযোগ নষ্ট করেন। শেষের দিকে কিছুটা উদ্বেগ বাড়ালেও ৩ পয়েন্ট ঘরে তুলল ইস্টবেঙ্গল।
হারের হ্যাটট্রিকের বোঝা কাঁধে নিয়ে ফিরে আসার কাজটা যে কতটা কঠিন তা ভালোমতোই জানতেন অস্কার। চোট-আঘাতের জন্য টিম এখনও গুছিয়ে উঠতে পারেননি। এদিনও যেমন সাইডব্যাকে শুরু করলেন জিকসন সিং। প্রথম দিকে মানিয়ে নিতে কিছুটা সমস্যা হলেও ধীরে ধীরে ম্যাচের রাশ হাতে তুলে নেয় ইস্টবেঙ্গল। তারপর শুরু হয় মুহুর্মুহু আক্রমণ। কখনও দিয়ামান্তোকোস, তো নতুন বিদেশি রিচার্ড সেলিস। পাল্লা দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণকে নেতৃত্ব দিলেন দুজনে। পিছন থেকে সাহায্য জোগালেন ক্লেটন। অন্যদিকে গতিতে কেরালা রক্ষণকে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছিলেন সেই রাজ্যেরই পিভি বিষ্ণু। প্রথমার্ধেই অন্তত ৪ গোলে এগিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল।
দিয়ামান্তোকোসের পাস থেকে বল পেয়ে গোল লক্ষ্য করে শট করেছিলেন ক্লেটন। কিন্তু তা জালে জড়ায়নি। রিচার্ডের দূরপাল্লার একটি শট বারে লেগে ফিরে আসে। একটি সহজ গোলের সুযোগ মিস করেন রিচার্ডও। কিন্তু বিদেশিরা যা করতে পারছিলেন না, তা করে দিলেন বিষ্ণু। বলা যায়, ইস্টবেঙ্গলের বিপদকালে ‘ত্রাতা’ হিসেবে আবির্ভূত হলেন তিনি। ২০ মিনিটে ক্লেটনের থেকে বল পেয়ে একক দক্ষতায় বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন বিষ্ণু। কেরালার গোলকিপারের উপর দিয়ে বল চিপ করে দেন। চেষ্টা করেও গোল আটকাতে পারেননি কোরৌ সিং।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে রোহিতকে নিয়ে বাড়ছে চিন্তা! কী হল ভারত অধিনায়কের
দ্বিতীয়ার্ধেও ছবিটা খুব একটা বদলায়নি। কেরালার নোয়া, লুনারা বিচ্ছিন্ন কিছু আক্রমণ তুলে আনলেও বড়সড় কিছু বিপদ হয়নি। বরং পুরনো দলের বিরুদ্ধে যেন চেনা ছন্দেই দেখা গেল দিয়ামান্তোকোসকে। তাঁর আরও একটি শট থেকে গোলের সম্ভাবনা ছিল। অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হন মহেশও। কিছুক্ষণ পর ফের একক দক্ষতায় বক্সে ঢুকে পড়েন বিষ্ণু। কোনও রকমে তা বাঁচিয়ে দেন কেরালার গোলকিপার। কিন্তু কর্নার থেকে আর শেষরক্ষা করতে পারেননি তিনি। ৭২ মিনিটে হেডে গোল করলেন হিজাজি। ৮৪ মিনিটে কেরালার হয়ে একটি গোল শোধ করেন দানিশ ফারুক। পরে অবশ্য আর বিপদ বাড়েনি। শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ জেতে ২-১ গোলে।
আরও পড়ুন: আইসিসির বর্ষসেরা ওডিআই একাদশে কেন নেই কোও ভারতীয় প্লেয়ার? জানা গেল আসল কারণ
এই জয়ের ফলে ১৭ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট দাঁড়াল ১৭। লিগ টেবিলে অবশ্য এখনও রয়েছে ১১তম স্থানে। তবে এদিনের পারফরম্যান্স ও গুরুত্বপূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে আশার আলো দেখতেই পারেন ভক্তরা। যদিও রাস্তা শুধু অনেকটা বাকি নয়, কঠিনও বটে।
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
January 25, 2025 12:45 AM IST
Virendra Sehwag: ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে আনফলো; বীরেন্দ্র সেহওয়াগের বিবাহে চিড়? তুঙ্গে জল্পনা