Last Updated:
২০০১ সালে দু দুবার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে সাফ জানিয়ে দেন, দুধ, ঘি-এর মতো দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে তাঁকে৷

৮০ বছর বয়স৷ কিন্তু এখনও প্রতিদিন নিয়ম করে নিজের হাঁটুর বয়সি যুবকদের সঙ্গে দাপিয়ে কবাডি খেলেন রাজস্থানের চুরুর বাসিন্দা শিব ভগওয়ান ভকর৷ এক এক সময় বয়সে ছোট ওই ছেলেদের হারিয়েও দেন তিনি৷
শুধু কবাডি খেলাই নয়, দৌড়েও ৮০ বছরের শিব ভগওয়ানের সঙ্গে পেরে ওঠেন না গ্রামের অনেক তরুণ তুর্কিরা৷ সব অর্থেই বয়সটা এই বৃদ্ধের কাছে শুধুই একটি সংখ্যা মাত্র৷
যদিও বছর পঁচিশ আগেও জীবনটা এমন ছিল না শিব ভগওয়ানের৷ ২০০১ সালে দু দুবার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে সাফ জানিয়ে দেন, দুধ, ঘি-এর মতো দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে তাঁকে৷ দিনে একশো গ্রাম দুগ্ধজাত খাবারও তাঁর জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে সাবধান করে দেন চিকিৎসকরা৷ ঘণ্টায় ঘণ্টায় খেতে হত বিভিন্ন ধরনের ওষুধ৷ তার পরেও শরীরের অস্বস্তি কাটছিল না শিবের৷ গলা, বুকে সবসময় জ্বলুনি অনুভব করতেন তিনি৷
এর পরই শরীর সুস্থ করতে বিকল্প পথের খোঁজ করতে শুরু করেন শিব৷ তখনই টিভি-তে বাবা রামদেবকে দেখে বাড়িতেই টুকটাক যোগ ব্যায়াম করতে শুরু করেন তিনি৷ এর পর ২০০৭ সালে পতঞ্জলির যোগ ব্যায়ামের শিবিরে যোগ দেন শিব৷ এর শিবিরে অংশগ্রহণের পরই নিজেকে যেন নতুন করে আবিষ্কার করেন তিনি৷
ওই শিবিরের পরই কড়া নিয়মানুবর্তিতায় নিজের জীবনকে বেঁধে ফেলেন শিব৷ রোজ ভোর চারটেয় উঠে তিন কিলোমিটার দৌড়ন তিনি৷ তার পরের তিন ঘণ্টা একটানা যোগ ব্যায়াম করেন তিনি৷ এখনও প্রতিদিন একশো বার ডন বৈঠক দিতে পারেন শিব৷ আর রোজকার এই অনুশীলনের ফল রীতিমতো অবিশ্বাস্য৷
ডাক্তারের বেঁধে দেওয়া নিয়ম ভুলে গিয়ে এখন প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার দুধ খান শিব৷ ঘি-ও খান যথেষ্ট পরিমাণে৷ অস্বস্তির বদলে ঘি, দুধ এখন তাঁকে শক্তি জোগায়৷ হৃদরোগের সমস্যা, সর্দি, কাশি এসবই এখন শিবের জীবনে অতীত৷ সবথেকে বড় কথা, ৩৮ বছর বয়স থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চশমা পরতে হলেও এখন খালি চোখেই দিব্যি জীবনযাপন করছেন ওই বৃদ্ধ৷ তিনি শুধু এখন আর গ্রামের কম বয়সিদের কাছে অনুপ্রেরণা নন, গ্রামবাসীদের যোগ ব্যায়ামও শেখান শিব৷ তাঁর কথায়, যোগব্যায়াম মানুষের বয়সকে ভুলিয়ে দিতে পারে৷
Kolkata,West Bengal
June 21, 2025 4:38 PM IST