Last Updated:
Inspiration: এ এক অন্য জগন্নাথের গল্প। চাকরি পাওয়ার আগে ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রশ্নকর্তাদের বোর্ডে পা দিয়েই লিখে তাঁর পারদর্শিতা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন৷ দুটো হাত না থাকায় তাঁর মা ছেলের নাম রেখেছিলেন জগন্নাথ।

জগন্নাথ বাউড়ি
বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: আর একটা দিন পরই রথযাত্রা। রথযাত্রা উপলক্ষে জগন্নাথদেবের আরাধনায় মেতে উঠবেন অগণিত ভক্ত। তবে এবার জানুন এক অন্য জগন্নাথের গল্প। পূর্ব বর্ধমান জেলার বাসিন্দা এই জগন্নাথেরও জন্ম থেকেই দুটো হাত নেই। তবে হাত ছাড়াই যেন তিনি অসাধ্যসাধন করে দেখিয়ে দিয়েছেন। হাত না থাকার কারণে যে মানুষটাকে নিয়ে একসময় অনেকে ব্যঙ্গ করত, সেই জগন্নাথ বাউড়ি আজ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। হাত নেই তো তাতে কী! পায়ের আঙুলের ফাঁকে চক নিয়ে পা দিয়েই লেখালেখি করেন ব্ল্যাকবোর্ডে।
জন্ম থেকেই তাঁর দুটি হাত নেই। দুই পা তাঁর ভরসা৷ পা দিয়েই চামচে করে খাবার খান৷ আবার পা দিয়েই স্কুলের ব্ল্যাকবোর্ডে চক ডাস্টার দিয়ে পড়ুয়াদের পড়ান। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আউশগ্রামের জয়কৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পা দিয়েই তিনি স্কুলে পড়াশোনা করান। এমনকি পা দিয়েই চায়ের কাপ ধরে চা পান করেন জগন্নাথ৷ মনের অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি৷ তারপর ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারিতে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। চাকরি পাওয়ার আগে ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রশ্নকর্তাদের বোর্ডে পা দিয়ে লিখে তাঁর পারদর্শিতা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন৷ দুটো হাত না থাকায় তাঁর মা ছেলের নাম রেখেছিলেন জগন্নাথ।
জয়কৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক চন্দন মণ্ডল বলেন, “জগন্নাথবাবুকে প্রথম দেখলে অবাক লাগবে। কিন্তু আমাদের দেখে দেখে অভ্যাস হয়ে গেছে। উনি পারদর্শিতার সঙ্গে সব সামলান। আমাদেরও ভাল লাগে, জগন্নাথবাবুর ইচ্ছাশক্তিকে কুর্নিশ।” তিনি আবার ভাল গানও করেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। শুধু তাই নয় স্কুলছুট কমাতে এলাকায় অভিভাবকেদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও বোঝান তিনি৷ পাশাপাশি খেলাধুলোর জন্যও পড়ুয়াদের উৎসাহ জোগান জগন্নাথবাবু৷
Kolkata,West Bengal
June 25, 2025 5:37 PM IST
Inspiration: আজন্ম নেই দু’ হাত, পায়ের আঙুলে চক ধরে লেখেন ব্ল্যাকবোর্ডে…উজান স্রোতে পাড়ি দিয়ে গত এক দশক ধরে প্রধানশিক্ষকের দায়িত্বে জগন্নাথ