Last Updated:
Independence Day 2025: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নিজের স্বতন্ত্র ভূমিকা পালন করেছে তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ি বা তমলুক রাজবাড়ি।

তমলুক রাজবাড়ি
তমলুক, সৈকত শী: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নিজের স্বতন্ত্র ভূমিকা পালন করেছে তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ি বা তমলুক রাজবাড়ি। স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পীঠস্থান তমলুক রাজবাড়ি। যার অলিন্দে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সভা করে গিয়েছেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ভূমিকায় তমলুক রাজবাড়ি এক প্রবাহমান ইতিহাসের সাক্ষী। বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন থেকে লবণ আইন আন্দোলন- সবেতেই ইতিহাসে ছাপ রেখে যায় তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ি বা রাজ পরিবারের সদস্যরা।
১৯৩০ সালে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হলে রাজা সুরেন্দ্র নারায়ণ রায় মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেন। তিনি অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে অবিভক্ত তমলুক মহকুমার লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনকারীদের বসবাসের জন্য রাজবাড়ির একাংশ ছেড়ে দেন। রাজবাড়ি থেকেই সত্যাগ্রহীরা লবণ আইন ভঙ্গের উদ্দেশ্যে নরঘাট গিয়েছিলেন। এর ফলস্বরূপ ব্রিটিশ বাহিনী রাজা সুরেন্দ্রনারায়ণ রায়কে গ্রেফতার করে। রাজা সুরেন্দ্রনারায়ণ রায়ের পুত্র ধীরেন্দ্রনারায়ণ রায় লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনে অংশ নেন। তিনি ১৬ এপ্রিল ১৯৩০ সালে গ্রেফতার বরণ করেন। এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করেন। রাজা সুরেন্দ্রনারায়ণের অপর এক পুত্র হরেন্দ্রনারায়ণকে ব্রিটিশ পুলিশ গ্রেফতার করে বিচারে তাঁকে শহর ছাড়ার নির্দেশ দেয় ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর।
১৯৩৮ সালে তৎকালীন কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস। ১১ এপ্রিল তিনি তমলুক শহরে এলেন। শহরে কংগ্রেসের সভা অনুষ্ঠিত হবে কিন্তু সভা করার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। তখনও এগিয়ে আসে তাম্রলিপ্ত বা তমলুক রাজপরিবার। সেই সময় কংগ্রেসের নেতাগণ শরণাপন্ন হয় বৃদ্ধ রাজা সুরেন্দ্রনারায়ণ রায়ের। বৃদ্ধ রাজা রাজবাড়ির অন্দরে খোসরঙের মাঠের ফলন্ত আমবাগান কেটে সুভাষচন্দ্রের সভার আয়োজন করেন। ১৯৪২ সালের অগাস্ট আন্দোলনেও এই রাজ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেয়। রাজ পরিবারের সন্তান কুমারেন্দ্র নারায়ণ রায় এই আন্দোলনে অংশ নেয় ছাত্রাবস্থায়। ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে স্বদেশী বিপ্লবীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তমলুক রাজবাড়ি এক উল্লেখযোগ্য স্থান নিয়েছে।
Kolkata,West Bengal
August 10, 2025 12:04 AM IST